ই-পেপার রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও বৈশ্বিক অস্থিরতা

রায়হান আহমেদ তপাদার:
১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনন্য সাধারণ সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। তিনি মার্কিন শাসন বিভাগের প্রধান বা আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান, আবার শাসন বিভাগের প্রকৃত কর্ণধার। তিনি ইংল্যান্ডের রাজার মতো রাজত্ব করেন ও প্রধানমন্ত্রীর মতো শাসন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি আর ক্ষমতার প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক কারণেই সেটা হয়। কিন্তু কীভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল, এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, নির্বাহী বিভাগ ও কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কে ভারসাম্য এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও বিশ্বে তার প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেবল আমেরিকানদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ নন, বরং বিশ্বজুড়েই মানুষ প্রেসিডেন্টকে সব ধরনের সংবাদ ও প্রচারমাধ্যমে দেখেন নিয়মিত। প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের নেতৃত্ব দেন, একই সঙ্গে পৃথিবীজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। নতুন পলিসি প্রবর্তন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সংকট, বৈশ্বিক রাজনীতির পরিবর্তন কিংবা রাষ্ট্রীয় সফর সবই গুরুত্বপূর্ণ তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সব সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। বর্তমান সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব পণ্যতে নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে "বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় আঘাত" বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন। তার এমন মন্তব্য অন্য অনেক দেশের, যেমন চীনের সাথে মিলে গিয়েছে,যারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে এবং চীন জানিয়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাঁচই এপ্রিল থেকে সমস্ত আমদানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং ৯ই এপ্রিল থেকে প্রায় ৬০টি দেশের ওপর আরও বড় ধরণের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় এমন পাল্টা সতর্ক বার্তা আসে।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য হচ্ছে, এই পদক্ষেপগুলো অন্যায্য বাণিজ্য নীতির প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি দাবি করেছেন, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট দয়া দেখিয়েছেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, এর প্রভাব নিয়ে ঢাকায় চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। অর্থনীতিবিদদের অনেকে বলছেন, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পে।যুক্তরাষ্ট্র এটাকে পাল্টা শুল্ক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, যেসব দেশ এতদিন মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক নির্ধারণ করে রেখেছিলো, সেইসব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের প্রকাশিত তালিকায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় এখন থেকে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ নতুন অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থেমে থেমে চলছে। সামরিক শক্তির মাধ্যমে কোনো পক্ষই তাদের ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনের অবস্থানে নেই। এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ওভাল অফিসে এমন চুক্তির বিষয়ে কথা হয়েছিল।রাশিয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।এর পরিবর্তে জ্বালানি অবকাঠামোয় আক্রমণ নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দেয়।উভয় পক্ষই কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে।

কিন্তু রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য সমর্থন জানিয়েছে। স্বল্প সময়ের এই যুদ্ধবিরতি কখন শুরু হবে-এমনকি আদৌ হবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এতে কী অন্তর্ভুক্ত থাকবে তাও দূরে রয়ে গেছে।এ ধরনের আংশিক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু পথ তৈরি হতে পারে। আংশিক পদক্ষেপগুলো ব্যাপক ভাবে শান্তি চুক্তির দিকে পরিচালিত করবে না। কৃষ্ণসাগর সক্রিয় না হলেও রাশিয়া যুদ্ধের বিচার করতে পারে।সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো মার্কিননীতি। ট্রাম্প প্রশাসন উভয় পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধে রাজি করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু তাদের দৃষ্টিভঙ্গি রাশিয়াকে সুবিধা প্রদানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে এবং একই সঙ্গে ইউক্রেনের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়াকে কিছু উৎসাহ দেওয়া দরকার। এর মধ্যে থাকতে পারে উচ্চস্তরের যোগাযোগ পুনরায় শুরু করা এবং দূতাবাসগুলোকে পুনঃস্থাপন করার ইচ্ছা। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে সমর্থন দেওয়া উচিত। ইউক্রেনের জন্য রাশিয়াকে তার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলো আলোচনার টেবিলে রাখার অনুমতি দেওয়া দরকার। যা গ্রহণযোগ্য নয় তা হলো- রাশিয়ান দখলদার বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত অবৈধ গণভোটের ভিত্তিতে ক্রিমিয়া, দনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় রাশিয়ান অবস্থান গ্রহণ করা। ক্রেমলিনে ট্রাম্পের কূটনীতিক স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার অবস্থানকে চিত্রিত করা এক জিনিস এবং এটিকে নিজের মতো করে গ্রহণ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। আরও বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, এই মুহূর্তে চূড়ান্ত বিবেচনার বিষয়ে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আপাতত লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি উন্মুক্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি, স্থায়ী শান্তি চুক্তি নয়।এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা করাটা সম্ভাব্যতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য চুক্তিটি যতটা সম্ভব স্পস্ট এবং সহজতর হওয়া উচিত।

কার্যকর যুদ্ধবিরতির জন্য যা দরকার, তা হচ্ছে; শত্রুতা বন্ধ করা এবং সেনাবাহিনীর বিচ্ছিন্নতা। তবে আদর্শগত ভাবে তাদের মধ্যে একটি শান্তিরক্ষী দল থাকবে। অঞ্চল এবং জনসংখ্যার ব্যবস্থাপনাসহ বাকি সবকিছু চূড়ান্ত আলোচনার জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত। আপাতত, উভয় পক্ষকে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহ বা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সম্মত হওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। যুদ্ধ বিরতিকে পেছনে ফেলে দেয় এমন পদক্ষেপগুলোকে বাধাগ্রস্ত করার মতো কোনো কিছুই করা উচিত নয়। রাশিয়াকে তার ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সৈন্য রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত। ইউক্রেন ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। ইউক্রেনকে সামরিক ও গোয়েন্দাসহায়তা অব্যাহত রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। এ ধরনের সমর্থনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বোঝানোর একমাত্র উপায় যে, আরও স্থবিরতা তার স্বার্থে নয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও নতুন করে রাশিয়ার আগ্রাসন রোধের জন্য ইউক্রেনের ক্ষমতার জন্য হলেও এটি অপরিহার্য। এটি সীমাহীন হওয়ার দরকার নেই। এ ধরনের মার্কিন সহায়তা তিন বছর ধরে বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি-এমন একটি স্তর যা অদূর ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। লক্ষ্য হওয়া উচিত ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসন রোধ এবং প্রতিরক্ষার জন্য যা প্রয়োজন তা দেওয়া। তার ভূমি মুক্ত করা নয়। উইটকফের মতে, রাশিয়ার নতুন আগ্রাসন নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই দাবি গুরুতর নয়। ২০১৪ সালে অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে বর্তমান যুদ্ধটি রাশিয়ার ইউক্রেনে দ্বিতীয় আক্রমণ। পুতিনের উদ্দেশ্য বিবেচনা করলে ক্ষমতাই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মের মধ্যে পরিস্থিতি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যেতে পারে, যখন ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেস-অনুমোদিত অস্ত্রের পাইপলাইন শেষ হয়ে যাবে।

ট্রাম্প প্রশাসনকে ইউক্রেনের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক এবং মার্কিন কূটনীতির মধ্যে সংযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রশাসন কী করবে তা বোঝার জন্য সময় দেওয়া উচিত। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালেবানদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম স্বাক্ষরিত চুক্তিটি বিরতি দেওয়া উচিত। তালেবানদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে আমেরিকার আফগান অংশীদারদের মাধ্যমে এই চুক্তিটি হয়েছিল। ফলে দেড় বছর পর তালেবানরা দ্রুত আফগানিস্তান দখল করে নেয়। কেউ কেবল আশা করতে পারে যে, ট্রাম্পের চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ভাবে অনেক কাজ করেছেন। ইউক্রেনকে একই পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে দুবার ভাবতে বাধ্য করবে। ট্রাম্পের এটাও মনে রাখা উচিত যে, ইউক্রেন ত্যাগ করলে শান্তি আসবে না। জেলেনস্কি যিনি দেশে আগের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়। তিনি সম্ভবত ইউক্রেনের মূল স্বার্থের সঙ্গে আপস করে এমন চুক্তির পরিবর্তে কোনো যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি না করার পক্ষেই মনোনীত হবেন। এটি ইউরোপ ও এশিয়া থেকে আমদানি করা দেশীয়ভাবে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করে বছরের পর বছর এক বা একাধিকরূপে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরে তার লক্ষ্যবস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও আক্রমণাত্মকভাবে কাজ করার জন্য প্রলুব্ধ করতে পারে। একই সঙ্গে রাশিয়া ইউক্রেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতাকে সামরিকভাবে চাপ দেওয়ার বা এমনকি তীব্রতর করার সুযোগ হিসেবে দেখতে পারে। শান্তি আনা তো দূরের কথা, ইউক্রেনের ওপর মার্কিন সামরিক বিচ্ছিন্নতা আসলে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে পারে। ঝুঁকি অনেক বেশি শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়। রাশিয়ার সঙ্গে কী ঘটবে তা ইউরোপের ভবিষ্যতের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।

চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করবে কি না, নাকি উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করবে এসব বিষয় নিয়ে অনেক ভাবার সময় এসেছে। বিশ্বজুড়ে বন্ধু ও শত্রু রাষ্ট্রগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কীভাবে দেখবে তার ওপর অনেক প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যখন ক্ষমতা সংহত করেছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এসে সেই সংহত অবস্থান থেকে নিজের প্রেসিডেন্সি শুরু করেছেন। যেমন, থিওডর রুজভেল্টের সময়ই যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে। জাপানের উত্থানের মধ্যে প্যাসিফিকে স্বার্থ রক্ষায় মধ্যস্থতা করেন পোর্টমাউথ চুক্তিতে, সৈন্য পাঠান কিউবা আর ডমিনিকান রিপাবলিকে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পৃথিবীজুড়ে অগ্রসর হতে শুরু করে। দ্রুত এগিয়ে যায় আমেরিকার শিল্পায়ন। উড্রো উইলসন এসে দেশের অর্থনীতি সংস্কারের পাশাপাশি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেন। প্রস্তাবনা দেন লিগ অব ন্যাশনস তৈরির। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এসে মহামন্দা কাটানোর জন্য যুদ্ধ-অর্থনীতি তৈরি করেন। এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বড় অংশ আসে অস্ত্র ব্যবসা থেকে। এর পাশাপাশি ছিল বৈশ্বিক মঞ্চে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের মধ্যস্থতা করার ক্ষমতা, যেটি যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণত করে পুঁজিবাদী পৃথিবীর নেতা হিসেবে। পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার গুরুত্ব ও ব্যাপকতা বিরোধ ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তার সব থেকে বড় পরিচয় হলো তিনি জাতির নেতা, জনসাধারণের মুখপাত্র। মার্কিন রাষ্ট্রপতি হলেন মার্কিন মুলুকের নৈতিক মুখপাত্র।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংঘাত: বাংলাদেশের ভবিষ্যত পথ কী?

বর্তমান বিশ্বরাজনীতিতে বন্ধু রাষ্ট্র বলে কিছু নেই। এক একটি পরিস্থিতি একেকটি সঙ্কটে পরিণত হতে পারে,

নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নেই, তবু গলা ফাটাচ্ছে দলগুলো

দেশের রাজনীতিতে যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে, তখন এক অদ্ভুত উন্মাদনা আমাদের ঘিরে ধরে। চারদিকে জ্বালাময়ী

সমাজে ধর্মীয় নেতাদের প্রভাব কাটিয়ে শান্তি স্থাপন করতে হবে

১০ এপ্রিল ২০২৫, ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো এক ঐতিহাসিক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ। এই

শান্তির মুখোশে সংঘাত : ইসরায়েল ও আরব জোটের বাস্তবতা

ইসরায়েল ও আশপাশের মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই চিত্র অনেকটাই বদলে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা মহানগর পুরাতন গাড়ি ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচন

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

ঢাকা ডার্বিতে মোহামেডানের জয়

রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী পাঁচ দিনের রিমান্ডে

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন হাজারো মানুষ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড সংখ্যক টাকা ও স্বর্ণালংকার

ভেন্যু জটিলতায় পিছিয়ে যাচ্ছে বিসিএল

পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে লেনদেনে দুইজন গ্রেপ্তার

গাজার পুরো ‘মোরাগ’ করিডর দখল করল ইসরায়েল

পিন ছাড়াই বিকাশ পেমেন্টে রিচার্জ সুবিধা চালু রবি ও এয়ারটেলের

সফলতার পথে যেভাবে এগিয়ে যাবেন

ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার ও গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

কাঁচা আমের উপকারীতা

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনায় মোনাজাতে কাঁদলেন লাখো মানুষ

স্লোভাকিয়ার প্রতি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের আহ্বান

জনতার মহাসমুদ্র ফিলিস্তিন ও আল আকসার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ

ঈদের ছুটির পর সচল পোশাক কারখানা

এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে তরুণ আটক

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা শুরু