আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন এবং ইসলামি বক্তাসহ বিভিন্ন পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উদ্যোগে ‘মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। অনেকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
এসব ছোট ছোট দলের মিছিলে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত শিশুদের মরদেহের প্রতীকী রক্তাক্ত কফিন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাচ্ছেন একদল যুবক। তাদের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা। মিছিলের সামনে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের হাতে কফিনে মোড়ানো ফিলিস্তিনের শিশুদের প্রতীকী লাশ। তারা নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, ইহুদি নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলে যান।
এই মিছিলে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। তাদের মধ্যে একজন আবু তাহের বলেন, এই কর্মসূচি সফল করতে গত তিনদিন ধরে তারা মার্কেটে গণ সংযোগ করেছেন। আজ সবাইকে নিয়ে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মিছিলে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতীকী লাশ দেখে সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
গাজীপুর থেকে বাসে করে এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কলেজছাত্র নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমরা চাই বিশ্বে সবাই শান্তিতে বাস করুক। আর ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েল যে অন্যায় করেছে, তার যথাযথ বিচার হোক।
এই কর্মসূচির আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে ঢাকায় এটিই সবচেয়ে বড় জমায়েত। দল-মত নির্বিশেষে সবাই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মাদ আবদুল মালেক এই জমায়েতে সভাপতিত্ব করছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই