এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের চার শর্তে উৎসব ভাতা বাড়ানো হয়েছে। তবে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানো হয়নি।
সোমবার (২৬ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসার সই করা সম্মতিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্মতিপত্রে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে সরকারি অংশের এক মাসের মূল বেতনের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে নির্ধারণ করা হলো।
শর্তে বলা হয়েছে, ‘এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন; প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আদেশ জারির তারিখ থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিও-র চার কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাঙ্কনের নিমিত্ত পাঠাতে হবে।
সম্মতিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতার হার বিদ্যমান ৫০ শতাংশ বহাল থাকবে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠায়। আর ১৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল।
আমার বার্তা/এল/এমই