সরকারি নানা সুবিধা সত্ত্বেও রংপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী কমছে আশঙ্কাজনক হারে। শহরে কিছুটা ভালো থাকলেও গ্রামাঞ্চলে এই হার বেশ উদ্বেগজনক। বিপরীতে শিক্ষার্থী বাড়ছে বেসরকারি স্কুলগুলোতে।
রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাগজে-কলমে ১৯৬ জন হলেও গড় উপস্থিতির হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তবে গ্রামের অনেক স্কুলে এই হার নেমে এসেছে ৫০ শতাংশের নিচে।
শিক্ষকরা জানান, একই এলাকায় একাধিক বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও স্কুল গড়ে ওঠায় সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী হারাচ্ছে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাস, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বন্ধ থাকা এবং অব্যবস্থাপনার কারণেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমছে।
অন্যদিকে, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও বেশি খরচ সত্ত্বেও বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী বাড়ছে। অনেক অভিভাবক মনে করেন, এসব স্কুলে শিক্ষকরা বেশি আন্তরিক এবং শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভালো।
সরকারি স্কুলের একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘একই শ্রেণিতে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থী থাকে। অনেকেই কম বোঝে, কেউবা ভালো বোঝে। এই বৈচিত্র্য মাথায় রেখে পাঠদান করতে হয়, যা চ্যালেঞ্জিং।’
রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী বাড়াতে উঠান বৈঠক, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রংপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাগফুর বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামোকে আরও আধুনিক ও বাস্তবসম্মত না করলে শিশুদের ভিত্তি মজবুত হবে না।’
রংপুর বিভাগে ৯ হাজার ৫৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ হলেও বাস্তবে উপস্থিতির হার অনেক কমছে বলে জানা গেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই