ই-পেপার শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ও বিশ্বায়ন বাস্তবতা

রায়হান আহমেদ তপাদার:
২৬ জুন ২০২৪, ১১:১৫

ইতালিতে হয়ে গেল জি-৭ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইউক্রেনকে সহায়তা, গাজায় যুদ্ধবিরতি, অভিবাসন নীতি, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং চীনের বাণিজ্যিক বিষয়। এছাড়াও আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগর এ দুটি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু এবারের সম্মেলনে আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তু ছিল।বিশ্বের উন্নত সাত দেশের সংগঠন জি-৭-এর নেতারা সম্মেলনে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য লড়াই এড়িয়ে কীভাবে তাঁদের শিল্পকারখানা রক্ষা করা যায়, সেদিকেই তাঁরা মূলত গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি নিয়ে কীভাবে ন্যায্য ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা আলোচনা প্রাধান্য পেয়েছে। সম্মেলনে রাশিয়ার সামরিক সম্প্রসারণ নীতির প্রতি চীনের সমর্থন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।ওয়াশিংটনের অভিযোগ, রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলেছে। জাপানের একটি সরকারি সূত্র জানায়, চীনের বিরুদ্ধে জি-৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলো অভিন্ন নীতিতে রয়েছে। উন্নত দেশগুলোর এই সম্মেলন এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কে একধরনের টানাপোড়েন চলছে। চলতি সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চীনের তৈরি ইলেকট্রিক গাড়িতে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জি-৭-এর অনানুষ্ঠানিক অষ্টম সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চীনের তথাকথিত শিল্পায়নে অতিরিক্ত সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, শিল্পায়নে বিশেষ করে সৌরবিদ্যুৎ ও ইলেকট্রিক গাড়ির মতো সবুজ জ্বালানি ও প্রযুক্তিতে বেইজিংয়ের উদার ভর্তুকির কারণে সে দেশের পণ্য অতিমাত্রায় সস্তা, যা ব্যাপকভাবে বিশ্ববাজার দখল করে নিয়েছে।

চীনের এই নীতির কারণে পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান সবুজ শিল্পায়ন খাতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি সম্মেলন শুরুর আগে বলেছিলেন, আমরা চীনের অবাজারসুলভ নীতির মোকাবিলা করব। তাদের এই নীতি বিশ্ববাজারকে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারে চীনকে চাপ দিতে জি-৭ সদস্যদেশগুলোর ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। জি-৭-এর অর্থমন্ত্রীরা গত মাসে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, তাঁরা সব দেশের জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপ নেবেন।জি-৭ সম্মেলন শুরুর আগে চীনের তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর ৩৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে ইউরোপের বাজারে চীনের গাড়ি আমদানিতে বড় ধরনের হুমকি তৈরি হয়েছে। বেইজিং ইইউর এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা নগ্ন সংরক্ষণবাদী আচরণ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) এ নিয়ে মামলার অধিকার রয়েছে চীনের। ইতিমধ্যে চীনের তৈরি ইলেকট্রিক গাড়িতে ১০০ শতাংশসহ সবুজ প্রযুক্তির পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণারও অভিযোগ এনেছেন।বৈঠকে চীনে গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও গ্রাফাইট রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ ও ইলেকট্রিক গাড়ির শিল্পে এই খনিজ পদার্থ খুবই দরকারি। চীনের ওপর এসব বিধিনিষেধ সে দেশে আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে চীনের ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনে জরুরি এমন আরও অনেক পণ্যের কাঁচামালের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেন, চীনের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে সরবরাহব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা দেবে, এতে বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

কারণ, পশ্চিমা বিশ্ব নানা পদক্ষেপ নিলে চীনও বসে থাকবে না। তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হচ্ছে। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহে চীনের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিরুদ্ধে সম্মিলিত ব্যবস্থা নিতে জি-৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলো একমত হয়েছে। ওয়াশিংটন অভিযোগ তুলেছে, বেইজিং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পকে সহায়তা করছে। আর সেই শিল্পে তৈরি অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। যৌথভাবে দুই দেশ ড্রোন তৈরি করছে। এ ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রপ্তানি করছে চীন। জি-৭ নেতারা এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেন। দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোতে চীনের মুখোমুখি অবস্থান ও সামরিকায়ন এবং তাইওয়ানে তাদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা ওই অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। সবশেষ জাপানে অনুষ্ঠিত জি-৭-এর সম্মেলনে নেতারা তাঁদের চূড়ান্ত বিবৃতিতে বলেছিলেন, এই অঞ্চলে চীনের যেকোনো ধরনের সামরিক তৎপরতাকে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেন। জাপান সরকারের সূত্র বলছে, ইতালির পুলিয়ার বৈঠকে চীনকে পরিষ্কার বার্তা দেওয়া দরকার যে এই বিষয় শুধু আঞ্চলিক নয়, জি-৭-ভুক্ত সব সদস্য দেশের জন্যও উদ্বেগের।সূত্র বলছে, জি-৭-এর সব সদস্য দেশ এই ব্যাপারে সচেতন যে চীনের শীর্ষ পর্যায়ে বার্তাটি তাদেরকে খোলামেলাভাবে জানিয়ে দিতে হবে।রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলার দেবে জি-৭। জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭।

আর এটি দেয়া হবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এটা রাশিয়াকে আরেকবার মনে করিয়ে দেয়া যে ‘আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না’, তবে মস্কো এর পাল্টা হিসেবে ‘সর্বোচ্চ বেদনাদায়ক’ পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।এই অর্থ চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম কিন্তু এটিকে দেখা হচ্ছে ইউক্রেনকে যুদ্ধ ও দেশটির অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা হিসেবে। ইটালিতে জি-৭ সামিটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং বাইডেন দশ বছর মেয়াদী একটি দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তিটিকে কিয়েভ ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।এই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে কিন্তু এখানে ওয়াশিংটন সৈন্য পাঠিয়ে সহায়তা করবে এমন কোন প্রতিশ্রুতি নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোতে রাশিয়ার প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফ্রিজ বা জব্দ করা আছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এসব জব্দ করা হয়। এসব সম্পদ থেকে বছরে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার সুদ আসে। জি-৭ এর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই তিনি বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরিয়ে ইউক্রেনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বার্ষিক সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হবে। আরেক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন এই ৫০ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং রাশিয়াকে আরেকবার বার্তা দেয়া হচ্ছে যে ‘আমরা পিছপা হচ্ছি না’। বাইডেন আরও বলেন,পুতিন 'আমাদের অপেক্ষা করিয়ে রাখতে পারবে না, তিনি আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করতে পারবেন না এবং আমরা যুদ্ধে জয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইউক্রেনের পাশে আছি' এবং থাকব।

শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, কানাডা ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ঋষি সুনাক, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার-এর সঙ্গে দেখা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিটি হবে নজিরবিহীন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো সরকার চাইলে এ চুক্তি পরিবর্তন করতে পারবে। এ চুক্তির খসড়া অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে ১০ বছরের জন্য প্রশিক্ষণ, অস্ত্র উৎপাদনে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে এবং গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির সাতটি বড় দেশ ও একটি সংস্থা নিয়ে এই জোট গঠিত। জোটের সদস্যদেশ হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই জোটের একটি অংশ। রাশিয়া ১৯৯৭ সালে এই জোটে যোগ দিলে সেটা জি-৮ হয়েছিল। তবে ক্রিমিয়া দখল করার কারণে ২০১৪ সালে রাশিয়া বাদ পড়ে যায়। এরপর রাশিয়া আর জি-৭-এ যোগ দেয়নি।চীন একটি বড় অর্থনীতি এবং বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা এই জোটের সদস্য নয়। কারণ কোনো দেশে মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম থাকলে ওই দেশকে জি-৭-ভুক্ত দেশগুলোর মতো উন্নত অর্থনীতি হিসেবে দেখা হয় না। তবে চীন ও রাশিয়া জি-২০-এর সদস্য। এবারে জি-৭-এর ৫০তম সম্মেলনে সাতটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ছাড়াও আফ্রিকা ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নেতারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য হাজির হয়েছিলেন।

প্রতিবছর জি-৭-এর একটি সদস্যদেশ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক এবং বছরব্যাপী সভাপতিত্বের জন্য দায়িত্ব নেয়। গত বছর ৪৯তম সম্মেলনের আয়োজক ছিল জাপান। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম আন্তর্জাতিক ফোরাম আয়োজন। যদিও জি-৭-এর একটি জোট হলেও তারা কোনো আইন পাস করতে পারে না। কারণ প্রতিটি দেশেই নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে অতীতে এই জোটের অনেক সিদ্ধান্তের বৈশ্বিক প্রভাব দেখা গেছে। এর আগে ২০০২ সালে এইডস ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল জি-৭। ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের জি-৭ সম্মেলন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য বেশি করের বিষয়ে মন্ত্রীরা একমত হন। এ বছর ইতালি ১০টিরও বেশি দেশকে অতিরিক্ত আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন জায়েদ, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদেল মাদজিদ তেবউন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম থাকলেও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না মিসর ও সৌদি আরব। প্রত্যাশা করা হচ্ছে সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য ৫০০ কোটি ডলার ঋণের একটি চুক্তি সম্পন্ন হবে যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো তার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পরপরই পশ্চিমে হিমায়িত করা হয়েছে। সম্মেলনের আরেকটি অধিবেশনে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ মূল বিষয়গুলোর একটি।হামাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো এবং এ অঞ্চলে শান্তি অর্জনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তবে গোটা সম্মেলন ঘিরেই আলোচনায় ছিল, চীনের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর বিষয়টি। যাকে চীনের ভাষায় বলা হচ্ছে-নগ্ন সংরক্ষণবাদী আচরণ।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

বাজেটে মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর

সরকার দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন তথা জনগনের জীবনমান উন্নয়নে নানামূখী পরিবর্তন ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ

রাজস্ব আদায়ে অগ্রগতি ও আহরণ আধুনিকায়ন

বাজেটের আকার ও দেশজ প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। রাজস্ব আহরণকে

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকট

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। বলাই যায় এটি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি

চলতি অর্থবছরের বাাজেটে জাতিকে প্রদত্ত কিছু মৌলিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি অতি সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী উপস্থাপন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত

সাধ ও সাধ্যের ব্যবধান কমে আসবে: অর্থমন্ত্রী

আদানির কেন্দ্র থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ

গ্রাহকের শতকোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালানো প্রাণনাথ গ্রেপ্তার

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতেই ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছে

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা

বাড়ন্ত শিশুর হাড়ের রোগ রিকেটস

ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়াই জাবির সিনেট অধিবেশন শুরু

খালেদাকে মুক্তি না দিলে যেকোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকুন

বক্তৃতায় মুক্তি মেলে না, আন্দোলনের পরামর্শ বিএনপি নেতাদের

প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালুর ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিএনপির নেতাদের মুখে যত জোড়, আন্দোলনে তা নেই: কাদের

অর্থনীতি সংকটে, প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক: জি এম কাদের

বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা সরকারের আছে: প্রধানমন্ত্রী

র‍্যাব-পুলিশ সরে গেলে এই সরকারের অপমৃত্যু ঘটবে: রিজভী

ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নেপালে ভূমিধসে শিশুসহ ৯ জন নিহত

ভারতের সঙ্গে চুক্তিগুলো বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর নয়

আমরা ভারতের বন্ধুত্ব চাই দাসত্ব নয়: গয়েশ্বর