পরিবারের দাবী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে লাকি’কে। মৃত্যুর ৪৮ঘন্টা পার না হতেই মৃত লাকীর পরিবারকে টাকার অফার ! মামলাও নিচ্ছেনা কক্সবাজার মডেল থানা! মোশররফা সোলতানা ডাকনাম লাকি। সে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া মুন্সিরবিল ৯ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকার মৃত সোনা আলীর মেয়ে। কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ২০২৩-২০২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলো।
গত বুধবার ৯ই এপ্রিল মাগরিবের নামাজের পর খরুলিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামে হঠাৎ একটি নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। চতুর্পাশে সব কিছু বোঝে উঠার আগেই তড়িঘড়ি করে কবরস্থ করা হয়। রহস্যজনক এই মৃ*ত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। মেয়েটিকে মৃ*ত উদ্ধার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাসতে থাকে। ভিডিও দেখে যে কেউ বলবে এটি আ*ত্মহ*ত্যা নয় হ*ত্যাকা*ন্ড।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একই এলাকার মোঃ ওসমান ,প্রকাশ্য বাবু নামে এক যুবকের সাথে এ্যাফিডেভিড মূলে বিবাহ হয় দাবি করেছেন মেয়েটির পরিবার। এটাও দাবি করেন মেয়েটি দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা। একদিকে মেয়েটির বিয়ে মেনে নেয়নি ছেলের পরিবার , অন্যদিকে ছেলের পরকীয়ার বিষয় জেনে যায় মেয়েটি। সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছিল মেয়েটির জীবনে চরমভাবে।
এলাকাবাসীরা জানান, ঘটনার দিন রাতে বাসায় লাকী একা ছিল। লাকীর মা'কে ফোন করে সিউর হন ওসমান প্রকাশ্য বাবু। তখন মা জানান লাকী বাসায় একা আমি তো কক্সবাজার লিংরোড বনতলা মেয়ের বাসায় বেড়াতে আসছি। বুধবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে লাকীর নিথর দেহ সিলিং ফ্যানে টাঙানো ছিল। ঘরের মেঝেতে কিছুটা র*ক্তের দাগ দেখেছে উদ্ধারের সময় যারা উপস্থিত ছিল। মোঃ ওসমান বাবুর বাড়ির সাথে লাকীর বাড়ির দূরত্ব কাছে হওয়াই তারাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। তাদের জোর দাবি একজন অন্তঃসত্ত্বা সচেতন মেয়ে কখনো আত্ম*হত্যা করতে পারেনা। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন পরিবারটি।
কিন্তু এদিকে লাকী'র পরিবার মামলা করতে সদর মডেল থানার ধারে ধারে ঘুরেও মামলা করতে পারছেন না বলে জানান ।