ভোলার মেঘনা নদীতে সিরামিক কাঁচামালবাহী কোস্টার জাহাজ এমভি রেক্সগ্লোরি-১ ডুবে যাওয়ার দুই দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি। এতে নদীতে আটকে থাকা ১৫ কোটি টাকার কাঁচামালসহ জাহাজটির পুরো মালামাল ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নদীর একপাশে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে এমনভাবে জাহাজ ডুবে থাকায় নদীপথে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানান স্থানীয় নৌযান চালকরা।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এমভি রেক্সগ্লোরি-১ জাহাজটি সিরামিক কাঁচামাল বোঝাই করে ভোলার কাচিয়া ঘাটে নোঙর করে। এরপর
রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি সুলতান বকর নামের অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় রেক্সগ্লোরির তলা ফেটে যায়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে সেটি ডুবে যেতে থাকে।
জাহাজে থাকা ১৩ জন স্টাফ স্থানীয় ট্রলারের সহায়তায় নিরাপদে তীরে ওঠেন। তবে দুর্ঘটনার পরপরই মালিক পক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেখা যায়, জাহাজটির প্রায় ৭৫ ভাগই পানির নিচে। কেবল মাস্তুল ও মাস্টার ব্রিজের কিছু অংশ দৃশ্যমান। নদীতে জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার আগে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মালামাল ও জাহাজ উভয়ই চিরতরে হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
জাহাজটিতে থাকা সিরামিক কোম্পানি মীর সিরামিকসের প্রায় ১ হাজার ৮০০ টন কাঁচামালের আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদাত মো. হাসনাইন বলেন, 'ঘটনার বিষয়ে দুই পক্ষই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলা নদী বন্দর কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন বলেন, 'বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনও উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়াটা দুঃখজনক। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।'
আমার বার্তা/এল/এমই