অবৈধভাবে ঘুষের টাকার বিনিময়ে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০৩, ডিয়াবাড়ি উত্তরা, ঢাকা এর মটরযান পরিদর্শক লাভলু সিকদার ও সহকারী মটরযান পরিদর্শক সোহেল রানা ঘুষ, দুর্নীতি অনিয়ম ও দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলে টাকার বিনিময়ে ফিটনেস বিহীন গাড়ী ফিটনেস দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন লাভলু সিকদার ও সোহেল রানা।
দীর্ঘদিন যাবৎ একই শাখায় দায়িত্ব পালন করা কালীন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। লাভলু সিকদার ও সোহেল রানার বিরুদ্ধে গত (২ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন মো. মাসুদুর রহমান নাকে একজন ব্যাক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লাভলু সিকদার মটরযান পরিদর্শক বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০৩, ডিয়াবাড়ি উত্তরা ঢাকায় কর্মরত আছেন। তার পিতার নাম পাহালী সিকদার, মাতার নাম নুর বানু এবং তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৫০৬৫৩৫৭১৩৮। তার গ্রামের বাড়ি মুগুরিয়াঘোনা, কুরনী টাঙ্গাইল। তার টিন নং- ৬১১৭৯৫৪৩৬০৪৯, কর সার্কেল-২০, মির্জাপুর কর অঞ্চল-গাজীপুর। তিনি এবং তার সহকারী সোহেল রানা মিলে বর্তমানে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০৩, ডিয়াবাড়ি উত্তরা ঢাকার ফিটনেস শাখায় কাজ করার সুবাদে প্রতিদিনই দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলোকে ফিটনেস দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, কাদের দালাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, দালাল বাবুল, সবুজ, সোহাগ, রতন, রুবেল, আবু তালেব, সাইদ, আব্দুল গণি, মতি, হাসান সহ প্রায় শতাধিক দালাল তাদের সাথে যোগাযোগ করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গাড়ির নাম্বার পাঠিয়ে দিয়ে গাড়ি না দেখেই ফিটনেস করিয়ে নেন। সন্ধ্যার পরে তারা একত্রিত হয়ে দালালদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর দালালদের মাধ্যমে যেসব গাড়ির ফিটনেস করিয়ে নেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ঢাকা মেট্রো-চ-১১-২৪০১, ঢাকা মেট্রো-ম-৫১-৮৬৬৭, ঢাকা মেট্রো-চ-৫৬-৩৬৫০, ঢাকা মেট্রো-চ-৫২-২৯৬৮, ঢাকা মেট্রো-চ-৫২-০৫৯০, ঢাকা মেট্রো-ম-৫৫-১০২৮, ঢাকা মেট্রো-স-১৪-০৯৫৫, ঢাকা মেট্রো-চ-১২-২৮২২ এগুলো ছাড়াও আরও প্রায় ১৬টিরও বেশি ফিটনেস বিহীন গাড়ি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফিটনেস করিয়ে দিয়েছে লাভলু সিকদার ও সোহেল রানা।
অবৈধ এই কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত আরও রাঘব বোয়ালদের বিস্তারিত নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন আসছে আগামি সংখ্যায়।
আমার বার্তা/এমই