অভিনেতা ইরেশ যাকের জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পাওয়া শর্টফিল্ম ‘আলী’ সংশ্লিষ্ট ও কলাকুশলী সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। জুলাইয়ের আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। মামলা রাষ্ট্র করেনি। মামলা করেছে অন্য একজন। নতুন বাংলাদেশে সবারই মামলা করার অধিকার রয়েছে। কেউ কেউ সেই স্বাধীনতার অপব্যবহারও করছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি পুলিশ এর সঠিক তদন্ত করবে। তদন্ত করে যা সত্য তা পক্ষে থাকবে আর মিথ্যা হলে বাতিল হয়ে যাবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সংস্কৃতি সম্পর্কিত সকল বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জড়িত থাকে। দায়িত্বের জায়গা থেকে অনেক কাজ করা হচ্ছে। সেসব মিডিয়াতে আসছে না। তিনি টাঙ্গাইলের একটি ঘটনার উদাহরণ দেন। টাঙ্গাইলের একটি পাঠাগার থেকে বই সরিয়ে দিয়েছিল একটি পক্ষ। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাদের মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি-মন্ত্রী, ঢাকার সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার, আইনজীবীসহ বিভিন্ন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অভিনেতা ইরেশ যাকের ১৫৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
রোববার (২৭ এপ্রিল) আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গত ২০ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১) বিএনপির দলীয় কর্মী। সে রেনেটা কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল হিসেবে আনুমানিক ৬ মাস যাবত চাকরিতে নিয়োজিত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় আমার ভাই ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিত।
আমার বার্তা/এমই