বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এনইউবি) পাবলিক হেলথ বিভাগ আজ এক প্রাণবন্ত ও অর্থবহ সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে টিকাদানের গুরুত্ব এবং জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি টিকাদানের গুরুত্বকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্লোগান ও ব্যানার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় পরিভ্রমণ করে।
শিক্ষার্থীরা পোস্টারে টিকাদানের বার্তা লিখে পথচারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সময়মতো টিকাদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানিয়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের তৈরি করা পোস্টার প্রদর্শনী। এই পোস্টারগুলোতে টিকাদানের সময়সূচি, শিশুদের জন্য টিকাদানের উপকারিতা এবং টিকাদান নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ভাঙার মতো বিষয় তুলে ধরা হয়। পোস্টারগুলো ছিল তথ্যবহুল এবং একই সাথে ভিজ্যুয়ালভাবে আকর্ষণীয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য সহজবোধ্য ছিল।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা জাতীয় টিকাদান সময়সূচি নিয়ে তৈরি লিফলেট আশপাশের বাড়ি, দোকান ও পথচারীদের মধ্যে বিতরণ করেন। লিফলেটগুলোতে কোন বয়সে কোন টিকা নেওয়া প্রয়োজন এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে কীভাবে বিনামূল্যে টিকা পাওয়া যায় — এসব তথ্য সহজ ভাষায় দেওয়া হয়।
পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. (লে. কর্নেল) সরদার মাহমুদ হোসেন শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এই কর্মসূচি প্রমাণ করে শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের জ্ঞান অর্জন করছে না, বরং বাস্তবে মানুষের উপকারে আসতে শিখছে। আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র পাঠদান নয়, তাদের সমাজে পরিবর্তনের দূত হিসেবে গড়ে তোলা।”
অনুষ্ঠানের শেষে ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে একটি সংক্ষিপ্ত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা টিকাদানের গুরুত্ব এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকার হার বাড়ানোর কৌশল নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এই আয়োজনের মাধ্যমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা ভবিষ্যতের জনস্বাস্থ্য নেতাদের গড়ে তুলতে এবং সবার জন্য টিকাদান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমার বার্তা/জেএইচ