আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করেছে।
প্যানেলে ভিপি পদে মনোনয়ন পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাগছাসের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। এজিএস পদে মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুন।
তবে আশরেফা খাতুন ছাড়াও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাগছাসের আরও তিনজন নেতা- কেন্দ্রীয় মূখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসিসর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সানজানা আফিফা অদিতি এবং ঢাবি শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব আশিকুর রহমান জীম।
অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বাগছাসের ঢাবি শাখার মূখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম। একই পদে লড়বেন ঢাবি শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আবু সাইদ এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন।
দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতারা দাবি করেছেন, কৌশলগত কারণে তাদের একাধিক নেতা ভিন্ন ভিন্ন পদে লড়ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা জানিয়েছেন, একই পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বাগছাসের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বাগছাসের অনেক প্রার্থীর নিজস্বভাবে ভালো করার সক্ষমতা রয়েছে। তাই একটি পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিছু ক্ষেত্রে এটি সংগঠনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত, আবার কয়েকজন প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করবেন।
আমার বার্তা/এমই