বর্তমানে ম্যাচের বড় বড় সিদ্ধান্ত যেমন- গোল, সরাসরি লাল কার্ড, পেনাল্টি ও ভুল পরিচয় শনাক্ত করতে পারে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। আগামী দিনগুলোতে প্রযুক্তিনির্ভর এই সিস্টেমের কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
প্রিমিয়ার লিগের রেফারিদের প্রধান হাওয়ার্ড ওয়েব ইঙ্গিত দিয়েছেন, হলুদ কার্ড ও কর্নার সিদ্ধান্তেও হস্তক্ষেপ করতে পারে ভিএআর।
ওয়েব জানান, ফুটবলের আইন প্রণেতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) ভিএআর-এর ব্যবহার পর্যালোচনা করছে। ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে প্রিমিয়ার লিগে চালু হওয়া এই সিস্টেমের কার্যক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো চাইলে বাড়াতে পারে।
ওয়েব বিবিসি স্পোর্টকে বলেন, ‘যদি ভুলভাবে দেওয়া হলুদ কার্ড নিয়ে কথা বলি, যা ম্যাচে বড় প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে একইভাবে ভুলভাবে না দেওয়া হলুদ কার্ডের কথাও ভাবতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুলভাবে কর্নার দেওয়ার ফলাফল কী হতে পারে, সেটি আমি ভালো করেই জানি; যে সিদ্ধান্ত সত্যিই ভুল ছিল। এমনকি ভুল হলুদ কার্ডের প্রভাবও জানা আছে আমার। অনেকের মত, ভিএআর ইতোমধ্যেই বড় পরিস্থিতিতে স্পষ্ট ভুল শুধরাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই আমরা এই আলোচনা করবো এবং ইংলিশ ফুটবলের সাথে পরামর্শ করবো।’
ম্যাচ কর্মকর্তাদের প্রতি চলমান অপব্যবহার নিয়েও কথা বলেন ওয়েব। কারণ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেওয়ায় মাইকেল অলিভার (রেফারি) অনলাইনে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন এবং অ্যান্থনি টেলরকে বুদাপেস্টে রোমা সমর্থকরা ঘিরে ধরেছিলেন ইউরোপা লিগ ফাইনালে সেভিয়ার কাছে হারের পর। এ পরিস্থিতিকে বর্তমান সমাজের প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেন ওয়েব।
তিনি বলেন, ‘কোনো সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ করলেও তা কর্মকর্তাদের ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় হুমকি দেওয়ার বা অপমান করার লাইসেন্স দেয় না। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
আমার বার্তা/জেএইচ