শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ। গতকাল বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কলেজটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মৃতের সংখ্যা লুকাচ্ছে এবং মরদেহ সরিয়ে ফেলছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে মাইলস্টোন কলেজের বাইরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজ ভবনের ভেতরে শিক্ষা উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা আছেন এমন সংবাদে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা দৌড়ে কলেজ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং দুই উপদেষ্টাকে ঘিরে ফেলেন। পরে উপদেষ্টারা কলেজ ভবনের ভেতরে চলে যান এবং এখন তারা সেখানেই আছেন।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা কলেজ মাঠে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছেন এবং তারা ‘আমার ভাই-বোন মরল কেন’, ‘আমাদের ভাই-বোনের মরদেহ লুকানো হচ্ছে কেন’, ‘দুর্ঘটনার এত ঘণ্টা পার হয়ে গেল কেন প্রকৃত মৃতের সংখ্যা জানাচ্ছে না সরকার’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবিগুলোর না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। প্রচণ্ড রোদের তাপে শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের এবং বন্ধুদের মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানতে কলেজ মাঠে জড়ো হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মর্মান্তিক এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জনে। এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শতাধিক।
আমার বার্তা/জেএইচ