বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ছাত্রদের দ্বিতীয় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে দ্বিতীয় দফায় আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে ৮-১০টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং দুজনকে আটক করেছে।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সচিবালয়ের সামনে সড়ক হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের অনেকককে সচিবালয়ের সামনের গেটের উপরে উঠেও বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
প্রথমে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পরে বাকি গেটগুলোও বন্ধ করে দেন তারা।
এক পযার্য়ে একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ভেতরে পুলিশও ঢোকে। সচিবালয়ের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এসময়। পুলিশ এক পর্যায়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে।
শিক্ষার্থীদের সচিবলয় থেকে বের করার পর তাদের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রের বাইরে থেকে সরিয়ে দিতে তাদের উপরে চড়াও হয় পুলিশ। সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
মো. সুমন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “এত বড় বিপর্যয়ের আমার ছোট ভাই বোনেরা মারা গেল। অনেকে আহত। আমরা এমনিতেই ট্রমার মধ্যে আছি। তার পরেও তারা আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত না করে রাত তিনটার দিকে পরিক্ষা স্থগিতের কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন অবিবেচক শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে আর দেখতে চাই না। তাদের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এসেছি।”
আমার বার্তা/এমই