ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাত আলী বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কমিশনার বলেন, আমি একজন সেবক। আমি রেভিনিউ, ট্যাক্স কালেক্টর না। আমার কাজ সেবা দেওয়া।
উদাহরণ দিয়ে কমিশনার বলেন, তেজগাঁও থানায় ৫০০ মামলা হোক সমস্যা নেই। সেজন্য আমি কমিশনার জবাবদিহি করব। কেন ৫০০ মামলা হলো। সেটার জবাব আমি দেব। মামলা হোক, জিডি হোক সমস্যা নেই, কিন্তু কোনো ঘটনা যেন হাইড না থাকে। যে ঘটনায় মামলা হওয়ার কথা সেটার জন্য মামলাই নিতে হবে, যেটার জন্য জিডি নেওয়ার কথা সেটার জিডিই হতে হবে।
নতুন একটি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগে জিডি হওয়ার পরে ৪৮/৭২ ঘণ্টা পর তদন্তকারী কর্মকর্তা যোগাযোগ করতো বা ঘটনাস্থলে যেতো। কিন্তু এখন সে সময় পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করতে না হয়, জিডি নথিভুক্ত হওয়ার ১/২ ঘণ্টার মধ্যে অফিসার যেভাবেই হোক ঘটনাস্থলে যাবেন বা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সে ব্যবস্থা চালু হবে। তিনি অভিযোগকারীর বক্তব্য শুনবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। মামলা নেওয়ার মতো ঘটনা হলে অভিযোগকারীকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা গ্রহণ করবেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করবেন।
তিনি বলেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু হবে। সেজন্য নতুন লোক প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের থানায় থানায় পাঠানো হবে। আমি চাই সেবা দিতে রেসপন্স টাইম কমিয়ে নিয়ে আসা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশি সহায়তা পান।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই