চরম শিক্ষক সংকটে দেশের স্বনামধন্য নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ। স্বাভাবিক পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিক্ষাকই ‘ভাড়ায়’ আনা। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এমন তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বেইলী রোডের মূল ক্যাম্পাস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি, বসুন্ধরা ও আজিমপুর শাখা আছে। এই চার শাখায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
এর মধ্যে আজিমপুরে প্রভাতী শাখায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণিতে ৩২টি ও দিবা শাখায় ৩২টি সেকশন। বসুন্ধরায় প্রভাতী শাখায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণিতে ৩০টি ও দিবা শাখায় ৩২টি সেকশন।
ধানমন্ডিতে প্রভাতী শাখায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণিতে ২০টি ও দিবা শাখায় ২২টি সেকশন।
বেইলী রোডে ইংরেজি ভার্সনে প্রভাতী শাখায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণিতে ২০টি ও দিবা শাখায় ২০টি সেকশন।
বাংলা ভার্সনে প্রভাতী জুনিয়র শাখায় প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৩০টি ও প্রভাতী সিনিয়র শাখায় সপ্তম থেকে দশম শ্রেণিতে ২২টি এবং দিবা শাখায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণিতে ৪২টি সেকশন আছে।
এ ছাড়াও বেইলী রোডের মূল ক্যাম্পাসে কলেজ শাখায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৮টি সেকশনে পাঠদান করা হয়।
মোট ৩৪০টি সেকশনে এত বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির চারটি শাখায় ৩৬৯ জন শিক্ষক আছেন। যার মধ্যে মাত্র ২৭ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ছাত্রীদের নিয়মিত পাঠদানে স্থায়ী পদের ৩৬৯ জন ছাড়াও আরো ১৫০ জন খন্ডকালীন শিক্ষক কাজ করছেন।
তবে তার চাহিদা নতুন করে প্রতিষ্ঠানটিতে স্থায়ী ভাবে ১৮৪ শিক্ষক নিয়োগের।
সরকারের এমপিও নীতিমালার ‘গ’ প্যার্টানভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ। তাই নিজ অর্থে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন তার জন্য সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের সুস্পষ্ট মতামতও জানতে চেয়েছেন অধ্যক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আরো জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতে গত ১৩ মার্চ খ্রিষ্টাব্দে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছে।
তবে চরম শিক্ষক সংকটেও কমিটির হাতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক মানোন্নয়নে ও সুনাম ধরে রাখতে ভিকারুননিসা নতুন করে ১৮৪ জন্য শিক্ষককে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ দিতে চায়।
আমার বার্তা/এল/এমই