দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে সুমনা নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চৌধুরী গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমনা আক্তার পালশা ইউনিয়নের চাটশাল সোনারপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুমনার বাবা-মা দুজন ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি নানা-নানির কাছে থাকতেন। গত ১৮ আগস্ট সুমনার বিয়ে হয় পাশের গ্রামের আব্দুস সোবহানের সঙ্গে। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন সুমনা। মঙ্গলবার সকালে নানার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি।
রাতে নতুন বরকে নিয়ে যখন সবাই টিভি দেখছিল, তখন সুমনা পাশের ঘরে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে জানায় পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে নানা মোজাফফর হোসেন পাশের গ্রামের আব্দুস সোবহানের সঙ্গে তার নাতনি সুমনাকে বিয়ে দেন। মেয়ে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুমনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে এক মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অন্য দিকে আব্দুস সুবহানেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিন মাস আগে আব্দুস সোবহানেরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। আসলে কেন আত্মহত্যা করেছে, তা বুঝতে পারছি না।’
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুর কারণ সন্ধানে তদন্ত চলছে।
আমার বার্তা/এল/এমই