জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, এদেশের মানুষ আর হাসিনা মার্কা নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচনী কেন্দ্র জবরদখলের চেষ্টা করলে জুলাই বিপ্লবীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিহত করবে। তাই নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরতে হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর পল্লবীর স্থানীয় একটি মিলনায়তনে ঢাকা-১৬ আসনে ভোট কেন্দ্র পরিচালক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ড. ইউনূস সরকার জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে চলেছে। তারা জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা দেশ ও জাতির এই ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল বিজয় নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। ফলে তারা এখন কালো শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে। এরা আগামীতে যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের কাছে করা অঙ্গীকার অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর ইশারায় সরকার পরিচালনা করলে হবে না। সবকিছু করতে হবে জুলাই বিপ্লবের চেতনার আলোকে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার আঁতাত করে ‘সেইফ এক্সিট’ নেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে তা প্রতিহত করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র দখল, নমিনেশন কেনাবেচা ও কালো টাকা বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। সনাতনী পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতির নির্বাচন জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।
তিনি আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন বানচাল হলে দায়ী থাকবে পাথর বাহিনী ও চাঁদাবাজ বাহিনী। এরই মধ্যে হেলমেট বাহিনীর কাজ পাথর বাহিনী করে যাচ্ছে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার কথা থাকলেও একটি মহল কেবল নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত।
তিনি সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে বলেন, জনগণের অধিকার বাস্তবায়ন না করে কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় বসানো হলে অন্তর্বর্তী সরকার অবৈধ সরকারে পরিণত হবে। তিনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের বাংলাদেশ।
আমার বার্তা/জেএইচ