রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজানেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৪৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিট) রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলে ৬.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৪৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিট) রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলে ৬.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য মতে, আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৪৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিট) রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলে ৬.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে সমুদ্রের নিচে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানলো। তাই এটাকে আফটারশকও বলা হচ্ছে।
ভূমিকম্পটি ৫৩.৪ কিমি (৩৩.১ মাইল) গভীরতায় অনুভূত হয় বলে জানায় সংস্থাটি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল রাশিয়ার কামচাটকায় অবস্থিত সেভেরো-কুরিল’স্ক থেকে ৯৮ কিমি (৬১ মাইল) পূর্ব এবং ভিলিউচিনস্ক থেকে ২৪২ কিমি (১৫০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে।
ভূমিকম্পের কারণে এই অঞ্চলেল অন্তত ৫ হাজার মানুষ হালকা কম্পন অনুভব করেছেন এবং প্রায় ১ হাজার জন মৃদু কম্পন বোধ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউএসজিএস একটি সবুজ সতর্কতা জারি করেছে যেখানে ভূমিকম্পজনিত প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এই কামচাটকা অঞ্চলেই গত ২৯ জুলাই একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৮.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের কারণে ব্যাপক সুনামির সৃষ্টি হয়। যা বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি করে এবং সেই ঢেউ কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে জাপান উপকূলেও পৌঁছে যায়। ওই ভূমিকম্পের পর আরও অন্তত ১ হাজার ৩০০টি মাঝারি থেকে শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল ৬+ মাত্রার।
আমার বার্তা/এল/এমই