মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া খাতুন ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এছাড়া আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) ধার্য হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম জাহিদ হাসান এ অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় আদালতে সব আসামি উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত ১০টার দিকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে মামলার ৪ আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিহত শিশুর বোন জামাই সজিব শেখ ও তার (সজিবের) ভাই রাতুল শেখকে খুন জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় শিশু আছিয়া। ৫ মার্চ বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এ ঘটনার পর মাগুরা ছাড়াও সারাদেশে শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। পুলিশ প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির বোনের বাড়িতে বসবাসরত চারজনকে আটক করে। শিশুটির মায়ের দায়েরকৃত মামলাতেও ওই চারজনকে আসামি করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।
এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার মূল আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ বিকেলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকার করেন।
আমার বার্তা/জেএইচ