সিরাজগঞ্জে প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদে জনজীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতাও বাড়তে থাকে। গরমের কারণে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অনেকেই কাজে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও ব্যাকুল হয়ে পরেছে।
এদিকে সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।
ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় চলাচল ও ফসলি মাঠে লোকজনের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এরপরও খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
সিরাজগঞ্জ সদরের দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক আজাহার আলী বলেন, রোদের তেজের কারণে গরমে কাজ করতে পারছি না। গত কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এঅবস্থা থাকলে গরমে ধান কাটা দুরহ হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামের কৃষক হানিফ, আকবর বলেন, গরম সহ্য করতে না পেরে শিশুসহ সব বয়সীরা দিনে ২/৩ বার গোসল করছেন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন তিনি। তাছাড়াও আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কখাও বলেন তিনি।
আমার বার্তা/এল/এমই