সরাইল উপজেলায় ১৫টি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে শতশত বিঘা কৃষি জমি, পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মানচিত্র থেকে উধাও করে দিচ্ছে কৃষি জমি। যদিও কৃষি জমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশ রয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশহর, পাকশিমুল, তেলিকান্দি মৌজার তিতাস নদীর পাড়ে চতুর্দিক ১৫ টি ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে এমন চিত্র গত ৬ জানুয়ারি চোখে পড়ে। ১০টি বাল্বহেড নৌকায় করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, এছাড়াও ২০টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর করে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি কাটাচ্ছে কয়েকটি চক্র মাটিখেকোরা। ভেকু দিয়ে মাটির ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন মাটিখেকোরা। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলার মাটিখেকোরা।
সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, ফসলি জমি ধ্বংসের জন্য শুধু মাটি ব্যবসায়ীরাই দায়ী নয়, জমির মালিকরাও দায়ী। কারণ মাটিখেকোদের নগদ টাকার লোভে পড়ে থাকেন জমির মালিকরা। এই সুযোগে কৌশলে জমির মালিকদের নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কিনে নেয় মাটি ব্যবসায়ী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুলাল মিয়া, নাজিম উদ্দীন, মুক্তার মিয়া, রমজান মিয়া, মাসুক মিয়া, জাকারিয়া সহ আরো অনেকই মিলে মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অবাধে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে মাটি কাটা কথা শিকার করেন।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন জানান, পূর্বে ও এই বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে অর্থ ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এখনো এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমার বার্তা/মো. রিমন খান/এমই