রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষকে জমায়েতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সা’দের অনুসারীরা সারাদেশে চলমান তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাবলিগ জামাতের শবগুজারি (রাত্রিযাপন) কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ–এর অনুসারীরা আগে থেকে জেলা ও উপজেলায় যেসব মসজিদে নিজ নিজ তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয় সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হন। আহত হন আরও ৪০-৫০ জন।
এরপর ২৬ ডিসেম্বর তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সাদপন্থি হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় সরকার। একইসঙ্গে অন্য পক্ষকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে বড় জমায়েত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামীকাল (২৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার কাকরাইল মসজিদের আশপাশে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরের অনুসারীদের কোনো রকমের বড় জমায়েত হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সাদপন্থিদের কার্যক্রম হতে বিরত থাকার কথা জানিয়ে বলা হয়, তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারীদের আগামীকাল (২৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে শবগুজারিসহ (রাত্রিযাপন) সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই