ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের উপ পরিচালক ফররুখ মাহমুদ জানিয়েছেন, ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিলো। এর মধ্যে ৭৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন এবং একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
বিভিন্ন হলে প্রার্থীর সংখ্যা:
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৫৯ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩১ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬২ জন, জগন্নাথ হলে ৫৫ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৫৮ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৭৫ জন, রোকেয়া হলে ৪৫ জন, সূর্যসেন হলে ৭৫ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬০ জন, শামসুন নাহার হলে ৩৫ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৬৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৩ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫৯ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৬ জন, অমর একুশে হলে ৭৬ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৮ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৬৮ জন এবং স্যার এ এফ রহমান হলে ৬২ জন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তালিকা:
কবি সুফিয়া কামাল হলে ২ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৬ জন, অমর একুশে হলে ৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৫ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৬ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ১ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৫ জন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ১১ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ৫ জন, সূর্যসেন হলে ৪ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৯ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৯ জন, জগন্নাথ হলে ৪ জন এবং শামসুন নাহার হলে ১ জন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে।
এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট চৌধুরী ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে জানান, এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, ২৮ জন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ডাকসুর ভিপি পদে ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্পাদকীয় পদগুলোর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদে ২১৭ জন প্রার্থী হয়েছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই