অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদত্যাগ না করলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে এর ফয়সালা করে ছাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা এবং ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময় ঢাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ভিসি প্রক্টরের অনেক গুণ, ৯ মাসে ২ খুন’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রক্টর কেন চেয়ারে’, ‘১৩ দিন হয়ে গেল, কেউ কিছু জানে না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট সেফটি’, ‘আমার ভাই সাম্য, ন্যায়বিচার কাম্য’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাম্য জুলাই অভ্যুত্থানের একজন সম্মুখ যোদ্ধা। সাম্যের মতো একজন জুলাই যোদ্ধার জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এই ভিসি-প্রক্টর। যে ভিসি-প্রক্টর জুলাই যোদ্ধা এবং ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর তাদের দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ। যে আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আপনাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, আপনারা তা না করতে পেরে আমাদেরকে হতাশ করেছেন। সাম্য হত্যার ন্যায়বিচার আপনারা এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি। আমরা ভিসি অফিসের সামনে থেকে শেষবারের মতো আপনাদের পদত্যাগ দাবি করছি।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, আজ ছাত্রদলের সহিষ্ণুতার শেষ কর্মসূচি। আমরা ১৩ দিন অনেক ধৈর্য ধরে ভিসি-প্রক্টরকে সহিষ্ণুতা দেখিয়েছি। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা তো দূরের কথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা রাখে না। আগামীতে আমরা যে কর্মসূচি দেব তা অধিকতর কঠোর হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সাম্য হত্যাসহ বিগত নয় মাসে ক্যাম্পাসে যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই দায় মাথা পেতে নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় প্রকাশ্যে স্বীকার করে পদত্যাগ করুন। আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করে স্বপদে বসে থাকবেন আর ছাত্রদল মুখ বুজে থাকবে তা হবে না। আগামীতে কঠোর কর্মসূচিতে যাবে ছাত্রদল।
আমার বার্তা/এল/এমই