বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় শতাধিক নারী শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দাবিতে মানববন্ধনে এসেছি। এই সংস্কার প্রস্তাবে এমন কিছু বিষয়ে বলা হয়েছে, যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।
যেগুলো এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধী। একই সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রস্তাবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করে নারী-পুরুষ সমানাধিকারের প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর মাধ্যমে যেমন ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে, তেমনি সাংবিধানিক অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, এসব বিধান সংখ্যাগড়িষ্ঠ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরং ইসলামে নারীদের যে উত্তরাধিকার রয়েছে, বাস্তবে নারীরা তা পাচ্ছেন না। আমাদের এই অধিকার নিশ্চিত করা হোক। নতুন কোনো আইনের পক্ষে আমরা নই। ইসলাম নারীদের ন্যায্য অধিকার দিয়েছে, যা সমতার অনেক ঊর্ধ্বে। আমরা এই সংস্কার প্রস্তাব বাতিলের দাবি করছি।
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব একটি শিশুসুলভ কাজ মন্তব্য করে আন্দোলনকারীরা বলেন, এতে অযৌক্তিক নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবে যৌনকর্মীদের শ্রমিকের স্বীকৃতির বিষয়ে বলা হয়েছে। অথচ উচিত ছিল যৌনকর্মীদের এই অভিশপ্ত জীবন থেকে বের করে এনে কীভাবে একটি সুন্দর জীবন দেওয়া যায়, সে বিষয়ে প্রস্তাব করা। আমরা মনে করি এই প্রস্তাব ইসলামবিরোধী একটি ষড়যন্ত্র।
কমিশন বাতিলের দাবিতে তারা বলেন, এ ছাড়া আমরা এই সংস্কার কমিশনের বিরোধিতা করছি। কারণ এই কমিশন বাংলাদেশের সবার প্রতিনিধিত্ব করে না। এখানে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ যুক্ত রয়েছে। এতে সব ধর্ম, বর্ণ ও পেশার মানুষকে নিয়ে কমিশন গঠন করা হয়নি। এই কমিশন বাতিল করে আবার নতুন কমিশন গঠন করা হোক।
আমার বার্তা/এল/এমই