মহান আল্লাহ যেমন মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তাদের রিজিকেরও ব্যবস্থা করেছেন। সেই মানুষকে কখনও সচ্ছলতা দিয়ে তিনি পরীক্ষা করেন; আবার কখনও অভাব-অনটন দিয়ে। সব অবস্থায় মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে; তার কাছেই অভাব-অনটন থেকে মুক্তি চাইতে হবে। আর এজন্য পবিত্র কোরআনে দোয়াও রয়েছে।
মহানবী রাসূল সা. এমন পরিস্থিতিতে এই দোয়াটি পড়ার প্রতি উদ্ধুদ্ধ করেছেন। এই দোয়ার বরকতে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের অভাব-অনটন দূর করে দেবেন।
অভাব দূর হওয়ার দোয়া
اللّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أو أُظْلَمَ
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলিমা।” (আবু দাউদ, হাদিস -১৫৪৪)।
বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী (জিললতি) থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারো দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে।’
ইস্তেগফার পড়লে অভাব দূর হয়
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতেগফার করবে (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি) আল্লাহ তায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮ )
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কে রিজিকে বরকত
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি প্রিয় নবীকে (সা.) বলতে শুনেছি— ‘যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং তার আয়ু বাড়াতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)
সবশেষ কথা হলো, রিজিকের মালিক হলেন আল্লাহ। তিনি যাকে চান অঢেল রিজিক দান করেন। আমাদের কাজ হলো তার নির্দেশ অনুযায়ী পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন করা।
আমার বার্তা/জেএইচ