রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে অংশ নিতে লাখো মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করবেন, যার ফলে সাময়িক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “রাজধানীবাসীর সহযোগিতা ও সহমর্মিতা কামনা করছি। সমাবেশে অংশ নিতে দেশজুড়ে থেকে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় আসবেন। এতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হতে পারে। আমরা আগাম দুঃখপ্রকাশ করছি এবং চেষ্টা করছি যেন দুর্ভোগ যতটা সম্ভব কম হয়।”
দলের পক্ষ থেকে সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। বর্ষাকালের কথা মাথায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান পরওয়ার। রাজধানীর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আটটি বিভাগে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করবেন।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আমাদের সংলাপ হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিএমপি কমিশনার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা আমাদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।”
ঢাকার বাইরের অংশগ্রহণকারীদের জন্য বাস কোথায় থামবে, কিভাবে শহরে প্রবেশ করবে—এসব নিয়েও ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “স্থল, রেল, সড়ক ও নৌপথে মানুষ শুক্রবার রাত থেকেই রাজধানীতে আসতে শুরু করবে। আমরা আশা করি, কেউ যাতে ভোগান্তির শিকার না হন, সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।”
জাতীয় সমাবেশের মাধ্যমে ৭ দফা দাবি, যার মধ্যে রয়েছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, পিআর ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের মতো বিষয়—তা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে চায় জামায়াত।
আমার বার্তা/জেএইচ