আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাদের রাজনীতি করতে দেওয়ার রাইট (অধিকার) থাকা উচিত নয়। তাদের রাজনীতি করতে দেওয়া মানে হচ্ছে ২৪-এর অভ্যুত্থানে ১৪০০ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি হোটেলে মতবিনিময় ও আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যদি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব না নিতেন তাহলে দেশে দুর্ভিক্ষ এবং গৃহযুদ্ধ ঘটতে পারত।
আওয়ামী লীগ বলত, তারা না থাকলে দেশে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হবে। কিন্তু খুব বেশি হলে ২৪ জন মতো আওয়ামী নেতাকর্মী মারা গেছেন, যেটিও কাম্য ছিল না। আমরা হত্যা সংঘাত চাই না, আমরা বিচার চাই। আমরা ড. ইউনূসের মাধ্যমে উত্তাল ঢেউয়ের ভেতরে চলা নৌকাটাকে নিরাপদে কূলে আনতে পেরেছি।
কিন্তু আমরা যেসব আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা-ও পূরণ হচ্ছে না। কেননা আওয়ামী লীগ সরকার পুরো রাষ্ট্রটাকে ভেঙে দিয়ে গেছে। পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা, গোয়েন্দা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, আমলাতন্ত্রসহ প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট ভেঙে চুরে খান খান হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে মব জাস্টিস নেই উল্লেখ করে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রায় ২০০ মতো দাবিদাওয়া আন্দোলন অত্যন্ত গণতান্ত্রিক পন্থায় হস্তক্ষেপ করেছে। এভাবে ধীরে ধীরে বিচারমুখী হবে মানুষ। রাষ্ট্রের প্রতি যত বেশি আস্থাশীল হবে মানুষ ততবেশি অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা কমে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা এবি পার্টির আয়োজনে মতবিনিময় ও আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অ্যাড. আব্দুলাহ আল মামুন রানা। সভাপতিত্ব জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।
আমার বার্তা/এমই