ই-পেপার বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

কারাগারে দাপুটে আওয়ামী লীগ নেতাদের মলিন ঈদ

আমার বার্তা অনলাইন:
৩১ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩০

এই তো সাত মাস আগের কথা। কি না ছিল তখন? রাজকীয় জীবন, জমজমাট ঈদ। দলের নেতাকর্মী আসত, সেলামি ও শুভেচ্ছা বিনিময় হতো। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে বাস্তবতা ভিন্ন।

গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যারা পালাতে পারেননি, তাদের ঠিকানা এখন কারাগার। পরিবার-পরিজনছাড়া দাপুটে এসব নেতাদের এবারের ঈদ নিশ্চয়ই নিরানন্দে কাটছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। অর্থবিত্ত বা ক্ষমতা, কী ছিল না তার? এখন সবই হাতছাড়া। অসহায় হয়ে ঈদ করছেন কারাগারে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুও অসহায় ঈদ পালন করছেন কারাগারে। অথচ একসময় তার কাছে হাজিরা দিতে ও দোয়া নিতে হতো বহু শিল্পপতির। এমনকি বরিশাল অঞ্চলে নেতা হতে হলে হাতেগোনা যে দু-তিনজনের আশীর্বাদ প্রয়োজন হতো, তিনি তাদেরই একজন। প্রতাপশালী এই নেতার গ্রেপ্তারের পর তার ঢাকার ও ঝালকাঠির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার শেষ বয়সে এসে কারাগারের যন্ত্রণা না নিতে পেরে সম্প্রতি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারই ঘোষণা দিয়েছেন।

আদালতে তিনি বলেন, আমার ৭৬ বছর বয়স। আমার চোখ ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমার পরিবার সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর নিতে পারছি না। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করব না।

কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিলাম। আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। এখন থেকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করলাম। একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক নির্যাতন করা হচ্ছে। এই বয়সে আমার ওপর জুলুম চালানো হচ্ছে। আল্লাহকে ডাক দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বাড়িভর্তি মানুষ, সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীসহ কি না ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথিত ছোটভাই সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। অথচ সবচেয়ে প্রভাবশালী এই প্রতিমন্ত্রী এখন সবচেয়ে অসহায়, ঈদ করছেন কারাগারে।

গত ১০ মার্চ দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসে সাংবাদিকদের দেখে জুনাইদ আহমেদ পলক বলতে শুরু করেন, কথা বললেই রিমান্ড ও মামলার সংখ্যা বাড়ে। হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আটকে রাখে। কথা বলে কী লাভ?

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, কাজী জাফরউল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির অসহায়ত্বেও কেউ পাশে নেই। তাদের ঈদ কারাভ্যন্তরেই কাটছে নীরবে-নিভৃতে।

এর বাইরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ মালেক, আব্দুর রহমান বদি, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাবেক খাদ্য উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক এমপি ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সাবেক এমপি মাসুদা সিদ্দীক রোজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশিসহ দলটির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অসংখ্য নেতা এবার কারাগারে ঈদ করছেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান দলটির নেতারা। আর যারা পালাতে পারেননি, তারা জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, হত্যা এবং বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংসহ নানা মামলায় আছেন কারাগারে।

আমার বার্তা/এমই

দেশে মানবিক আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: ডা. শফিকুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে

সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে

চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন সফর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় সাফল্য। ইতোপূর্বে

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব মহাসচিবের শুভেচ্ছা বিনিময়

রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মানবতার রাজনীতি ভিত্তিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদের পরে বদহজম বা ডায়রিয়া : কি করবেন, কি করবেন না

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে

দেশে মানবিক আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: ডা. শফিকুর

সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না: মাহফুজ আলম

কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য: মির্জা ফখরুল

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া

ঈদের পরে যে বিষয় গুলোতে সচেতন থাকতে হবে

বাংলাদেশ নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মিসলিডিং: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব মহাসচিবের শুভেচ্ছা বিনিময়

মাদারীপুরে তিনটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৪ যুবক নিহত

বিদেশিদের জন্য ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড বাধ্যতামূলক থাইল্যান্ডে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এয়ারপোর্টগামী মাইক্রোবাসে ছিনতাই: চাপাতি ফারুক গ্রেপ্তার

ভৈরবে রেললাইনের সিগন্যাল কেবল চুরির সময় গ্রেপ্তার ২

৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে বৃষ্টি

ফেসবুকে ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের পরিচালকের জিডি

মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আহত শতাধিক

অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না কনস্টেবল রনির

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কে ভারতের যেসব খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি