কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঈদের রাতে রেলওয়ে জংশন স্টেশনের অদূরে রেললাইনের সিগন্যাল কেবল চুরি করার সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল এই সুযোগে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ বুঝে ঈদের রাতে রেলওয়ে জংশন স্টেশনের অদূরে রেললাইনের সিগন্যাল কেবল চুরি করতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছে আটক হন। ঈদ উপলক্ষ্যে অধিকাংশ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। ঘটনার পরপরই বিচ্ছিন্ন কেবল মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ঘটনাটি ঘটে রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব দিকের মনমরা এলাকার ২৯ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে।
ওই দিন রাতেই পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার রশিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলামিন (২৩) ও ভৈরবপুর উত্তরপাড়া নাটাল মোড় এলাকার মিজান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমন (২৪)।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঈদের দিন রাতে তাদের সুবিধাজনক সময়ে রেলওয়ের সিগন্যালম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে কেবল তার কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ধাওয়া করে সুমন ও আলামিনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে কাটা তার, একটি ধারালো ছুরি ও একটি কাটিং প্লাস উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের আরও কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সংকেত) এস এসই সজীব মিয়া বলেন, বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষ্যে অধিকাংশ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। আর এই নিরিবিলি সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সিগন্যাল কেবল তার কেটে ফেলছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেন বন্ধ থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। ঘটনার পরপরই বিচ্ছিন্ন কেবল মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।