কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ৪ জন সাংবাদিক মারা যাওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জনের মতো। গুলি বা হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২২৬ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী।এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি বলে জানা যায়।
পুলিশের গুলিতে নিহত চার সাংবাদিক: কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় ঢাকায় নিহত হন সাংবাদিক মেহেদি হাসান ও তৌহিদ জামান প্রিয়,সিলেটে এটিএম তুরাব ও গাজীপুরে মো.শাকিল হোসেন। ঢাকা টাইমস পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেদি হাসান গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ কালে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন।পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল করেজ(ঢামেক)হাসপাতারের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক এটিএম তুরাব গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গুলিবিদ্ধ ও আহত সাংবাদিক: ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।আবার কেউ কেউ পুলিশের টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছেন।এছাড়াও বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন বা সংঘাতের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন।আমাদের সময়: কোটা আন্দেলনের সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ৯ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন,চিফ রিপোর্টার শাহজাহান আকন্দ শুভ,ফটোসাংবাদিক মনজুরুল বাবু,মো.মেহরাজ ও আলামিন লিওন,স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ কাফি রেজাউল রেজা এবং মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামান। প্রথম আলো: দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সাজিদ হোসেন,দীপু মালাকার ও খালেদ সরকার। তারা তিনজনই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। কালের কন্ঠ: কালের কন্ঠ পত্রিকার ছয় জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল করিম,ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান,শেখ হাসান ও মো: আসাদ।এছাড়াও পত্রিকাটির আরো দুজন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আহত হয়েছেন।তারা হলেন আল আমিন ও মাহদী হাসান। প্রতিদিনের বাংলাদেশ: দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন,পটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু,ক্রাইম চিফ আলাউদ্দিন আরিফ ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আকাশ। ঢাকা ট্রিবিউন: ইংরেজি পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক আহাদুল করিম খান আহত হয়েছেন। সমকাল : সমকাল পত্রিকার দুইজন ফটোজার্নালিস্ট গুরুতর আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র ফটোজার্নালিস্ট সাজ্জাদ মাহমুদ নয়ন ও মামুনুর রশীদ। ডেইলি স্টার: দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টরের তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট প্রবীর দাস ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আবির আহত হন ঢাকায়।এছাড়া ডেইলি স্টরের সিলেট প্রতিনিধি দোহা চৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছেন।বাংলাদেশ প্রতিদিন: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক রোহেত রাজীব ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় হামলার শিকার ও আহত হয়েছেন।১৯ জুলাই রামপুরা এরাকায় মাসুদ রানা (সংবাদকর্মী)হামলার শিকার হন। মানবজমিন: দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ ২০ জুলাই রামপুরা এরাকায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়।তার শরীরে ছয়টি ছররা গুলি লাগে। দেশ রুপান্তর: দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মহুবার রহমান ও মোশারফ হোসেন ভুবন,স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল হাসান সাগর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সুপন সিকদার। ইত্তেফাক: দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।তিনি হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি। সময়ের আলো: দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আব্দুল হালিম,আব্দুল্লাহ আল মমীন ও শেখ ফেরদৌস,সাহিত্য সম্পাদক আলী রেজা চৌধুরী এবং অনলাইন ভার্সনের সাংবাদিক হুমায়ন ও আল ইমরান। খবরের কাগজ: দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার দুইজন আহত হয়েছেন।পুলিশের গুলিতে ফটোসাংবাদিক মাসুদ মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৯ জুলাই।এদিন দুপুরে পল্টনে তার শরীরে ছররা গুলি লাগে।এছাড়া রিপোর্টার মেহেদী হাসান খাজা আহত হয়েছেন।
দৈনিক সংবাদ: দৈনিক সংবাদ পত্রিকার চারজন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান,প্রধান ফটোসাংবাদিক সোহরাব আলম,স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)মাসুদ রানা ও স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম।তাদের মধ্যে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন। যায়যায় দিন: দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাহিদ হাসান। জনকন্ঠ: জনকন্ঠ পত্রিকার চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন ফটোসাংবাদিক সুমন্ত চক্রবর্তী ও জসিম উদ্দিন,রিপোর্টার ফজলুর রহমান ও ঢাবি প্রতিনিধি মোজাহার। ভোরের কাগজ: ভোরের কাগজ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মামুন আবেদীন ও সংবাদকর্মী রাজিবুল মানিক। আলোকিত বাংলাদেশ: আলোকিত বাংলােেদশ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আক্তার হোসেন ও সংবাদকর্মী আরিফ। দৈনিক যুগান্তর: দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মাহিদা হাসান ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন।অপর জন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লাহ প্রতিনিধি আল আমিন প্রধান। কালবেলা: দৈনিক কালবেলা পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার রায়হান ও আকরাম হোসেন। ডেইলি সান: ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান পত্রিকার দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন ফটোসাংবাদিক রিয়াজ আহাম্মেদ সুমন ও সংবাদকর্মী সায়েদ হাসান শুভ। বণিক বার্তা: দৈনিক বনিক বার্তা পত্রিকার তিন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মাসফিকুর আকÍার ,কাজী সালাহউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মেহদী মামুন। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড: দৈনিক ইংরেজি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জসিম উদ্দিন ,রিপোর্টার রুকনুজ্জামান মনি, ফটোসাংবাদিক রাজিব ধর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মো: কাজল সিকদার। আজকের পত্রিকা: আজকের পত্রিকার আহত হয়েছেন ফটোসাংবাদিক ফজলে এলাহী ওমর। বাংলাবাজার: বাংলাবাজার পত্রিকার আহত হয়েছেন ফটোসাংবাদিক এম খোকন শিকদার।আজকের দৈনিক : আজকের দৈনিক পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন নূর হোসেন পিপুল। দি ডেইলি অবজারভার : দি ডেইলি অবজারভার পত্রিকার ফটোসাংবাদিক খন্দকার আজিজুর রহমান আহত হয়েছেন। মানব কন্ঠ: দৈনিক মানব কন্ঠ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন মো:জুবায়ের আলম খান। দৈনিক জনতা: দৈনিক জনতার ফটোসাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।তিনি হলেন মো: আব্দুল হালিম। দৈনিক ইনকিলাব: দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদকর্মী আহত এস এ মাসুম। দৈনিক নয়াদিগন্ত: দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এস এম আব্দুল্লাহ পারভেজ আল বাপ্পী আহত হয়েছেন: অর্থনীতি প্রতিদিন: এ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন মো:মাসুদ পারভেজ মিলন। বাংলাদেশ পোস্ট: দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট (ইংরেজি)পত্রিকার দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মো: আনোয়ার হোসেন ও ফটোসাংবাদিক জাহিদ উদ্দিন আহমেদ। অনলাইন সংবাদ মাধ্যম; বাংলা ট্রিবিউন: এ পত্রিকার পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার আরমান ভুঁইয়া,আসাদ আবেদীন জয়,আতিক হাসান শুভ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এস এম তাওহীদ। বিডিনিউজ ২৪ ডটকম: এ পত্রিকার দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন।হামলায় ফটোসাংবাদিক মো:মাহমুদ জামান অভি ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ জামান আহত হন। বাংলা নিউজ ২৪ ডটকম: এ পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র ফটো-করেসপন্ডেন্ট জিএম মুজিবুর রহমান,স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট শাকিল আহমেদ ও স্টাফ ফটো-করেসপন্ডেন্ট ইফফাত শরীফ। গারাবাংলা: সারাবাংলা পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন ফটোসাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ও মো: সুমিত আহমেদ সোহেল। বার্তা ২৪ ডটকম: অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বার্তা ২৪ ডটকম পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার খন্দকার আসিফুজ্জামান ও রাজু আহমেদ। সকালসন্ধ্যা: সকালসন্ধ্যা পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।আহতরা হলেন ফটোসাংবাদিক মোঃ হারুন অর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার মেরিনা মিতু ও সংবাদকর্মী কল্লোল কর্মকার। ব্রেকিং নিউজ: ব্রেকিং নিউজ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন মো.সালেকুজ্জামান চৌধুরী। এফএনএস: নিউজ এজেন্সি এফএনএস-এর সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সালাউদ্দিন আহমেদ শামীম হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। বাংলা আউটলুক: বাংলা আউটলুক পত্রিকার একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মোক্তাদির রশীদ রোমিও। রাইজিং বিডি: রাইজিং বিডির স্টাফ রিটোর্টার (মাল্টিমিডিয়া)সুকান্ত বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়েছেন। ডিবিসি টেলিভিশন: এর ১০ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মাসুদুর রহমান,জাকারিয়া আহমেদ ও মোস্তফা মাহবুব,স্টাফ রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম মোহন ও মোহাইমিনুল খান অপু,ক্যামেরাপারসন আলী ইমাম,কাজী জাহিদ আহমেদ,মর্তুজা নাসির,মাহমুদ আলী বাবু ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। চ্যানেল আই: চ্যানেল আই টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাকের আদনান ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শহিদুল্লাহ রাজু। নাগরিক টেলিভিশন: নাগরিক টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফজলে রাব্বি ও ভিডিও এডিটর রাজু হানিফ হামলায় আহত হয়েছেন।
বাংলাভিশন: বাংলাভিশন টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন স্টাফ রিপোর্টার মামুন আব্দুল্লাহ ও ফররুখ বাবু ও ক্যামেরাপারসন লিটন খান। এখন টেলিভিশন: এখন টিভির দুইজন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন।তারা হলেন,রিপোর্টার মাজহার ইমন ও ক্যামেরাপারসন তানিম আহমেদ। এনটিভি: এনটিভির ৮ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।তারা হলেন স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জুনায়েদ আল হাবিব,কাইকোবাদ মাহমুদ, নাজিবুর রহমান,মেজবাহ হাসান ও শফি মাহমুদ,সিনিয়র ক্যামেরাপারসন সাব্বির হোসেন মার্শাল,ক্যামেরাপারসন আলমগীর হোসেন ও হেলাল আহমেদ সজীব। বৈশাখী: বৈশাখী টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদুর রহমান,ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান ও গাড়িচালক মো.সুজন। ৭১ টিভি: ৭১ টেলিভিশনের ৭ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।এর মধ্যে ছয়জনই পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ।গুলিবিদ্ধরা হলেন-সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট প্ল্যানিং এডিটর মিল্টন আনোয়ার,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মুফতি পারভেজ নাদির রেজা,ক্যামেরাপারসন রাসেদুল হাসান, মো.আহমুদুল ও আবুল কায়সার ও ওলিমুদ্দিন আহমেদ।হামলার শিকার হয়েছে ক্যামেরা পারসন বিসাদ হাসান। এশিয়ান টেলিভিশন: এর ৭ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন চিফ রিপোর্টার হালিমা আক্তার লাবন্য ও বাতেন বিপ্লব,স্টাফ রিপোর্টার নূও মোহাম্মদ ভ’ঁইয়া ও এনাম মন্ডল,চিফ ক্যামেরাপারসন শহিদুল হক জীবন, সিনিয়র ক্যামেরাপারসন লতিফ চৌধুরী ও ক্যামেরাপারসন আদিব হোসেন।এর মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এটিএন বাংলা: এটিএন বাংলা টেলিভিশনের তিন জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।এর মধ্যে একজনের ছররা গুলি লেগেছে।তিনি হলেন সিনিয়র রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম।আহতরা হলেন স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন শফিউর রহমান প্রধান। নিউজ ২৪: নিউজ ২৪ টেলিভিশনের ১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তাদের মধ্যে ছয়জন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।তারা হলেন,স্টাফ রিপোর্টার মাসুদ সুমন(তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে),ক্যামেরাপারসন মোফাজ্জল হোসেন বাবলু,সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন ও তার ক্যামেরাপারসন এমদাদ,রংপুর প্রতিনিধি মমিন ও তার ক্যামেরাপারসন ডেমি।এছাড়াও হামলার শিকার হয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার নাঈম আল জীকু, স্টাফ রিপোর্টার মাসুদা লাবণী ও জুবায়ের সানি এবং ক্যামেরাপারসন আরফিন হোসেন,মো. মুরাদ ও আবদুস সালাম রিপন। মোহনা টিভি: মোহনা টেরিভিশনের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার কাজী ইনসাহ বিন দিদার ও হুমায়ুন কবীর।এছাড়া গুরুতর আহত হযেছেন সিনিয়র ক্যামেরাপারসন কবীর হোসেন খান। দেশ টিভি: দেশ টেলিভিশনের দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার জান্নাতুল মোহনা ও ক্যামেরাপারসন আব্দুল খালেক।
এসএ টিভি: এসএ টেলিভিশনের পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন, স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ(সোহান খান),রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন ও রিফাত আলম শিশির এবং ক্যামেরাপারসন মো. হারুন ও ইব্রাহিম খলিল। একুশে টিভি: একুশে টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদ হাসান,ক্যামেরাপারসন ওয়াসিম খান ও গাড়িচালক সোহেল । ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন: ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার অনির্বান,ইজাজুর রহমান,নাজমুল সাঈদ,আল আমিন হক অহন ও নূরে আলম,স্টাফ রিপোর্টার খালেদ রায়হান,মো. ওমর ফারুখ,ইকরামুল হক,আল আমিন হোসেন ও মাহমুদুল হাসান(পারভেজ)। আরটিভি: আরটিভির ছয়জন সাংবাদিক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে ইকবাল অনিক ও তাইমুন ইসলাম রায়হান যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।এছাড়াও গ্রিনরোড এলাকায় দিপ্ত চন্দ্র পাল ও ক্যামেরা পারসন স্বপন দেওয়ান।এছাড়াও উত্তরা এলকিায় টঙ্গী প্রতিনিধি তারেক হোসেন আহত হয়েছেন।আর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এমসিআর এক্সিকিউটিভ শাওন শরিফ। যমুনা টিভি: যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী,ক্যামেরা পারসন মিজানুর তপু ও বগুরা ব্যুরো চিফ মেহেরুল সুজন আহত হয়েছেন। সময় টিভি: সময় টেলিভিশনের ৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।তারা হলেন সিনিয়র রিপোর্টার তোহা খান তামিম,রিপোর্টার তানভীর হাসান মেঘ,ক্যামেরাপারসন রতন চন্দ্র মজুমদার,নিজামউদ্দিন আরফিন প্রিন্স, সুমন সরকার ও সালাহউদ্দিন মামুন এবং রংপুর প্রতিনিধি (রিপোর্টার রেজওয়ান হিমেল ও ক্যামেরাপারসন তারিকুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম: বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কর্মরত তিন জন বাংলাদেশ প্রতিনিধি আহত হয়েছেন।এর মধ্যে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বেনার নিউজ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জীবন আহমেদ ও শরিফ সিয়াম ইয়ন।এছাড়াও জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ স্বপন আহত হয়েছেন।
ঢাকার বাইরে ;নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ছয় সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।পুলিশের গুলিেেত জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোবাশ্বির শ্রাবণ গুলিবিদ্ধ হন।এছাড়া আহত হয়েছেন দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সোনালী আক্তার,দৈনিক সচেতন পত্রিকার অনলাইন বার্তা সম্পাদক ফাহমিদা এমি ও স্টফ রিপোর্টার নিশি আক্তার,দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার জেলা ফটোসাংবাদিক মো. সবুজ মিয়া এবং একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রবিউল ইসলাম। গাভার: সাভারে চারজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।পুলিশের গুলিতে স্থানীয় পত্রিকা পাক্ষিক নিউজ গার্ডেনের সম্পাদক ওমর ফারুক গুলিবিদ্ধ হন।এছাড়াও পুলিশের ছররা গুলিতে এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন জাহেদ আনসারি ও নিউজ২৪ এর সাভার প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপারসন এমদাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রতিনিধি গুরুতর আহত হয়েছেন।তারা হলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি মামুন, যুগান্তরের প্রতিনিধি মোসাদ্দেকুর রহমান,বণিক বার্তার প্রতিনিধি মেহেদী মামুন, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি আব্দুর রহমান খান সার্জিল, বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার প্রতিনিধি এস এম তাওহীদ, দৈনিক জনকন্ঠের প্রতিনিধি ওয়াজাহাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ টুডে’র প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ,সময়ের আলোর প্রতিনিধি মুশফিকুর রিজওয়ান, সাউথ এশিয়ান টাইমসের প্রতিনিধি সাকিব আহমেদ।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক- দৈনিক সকালের সময় ও দ্যা ডেইলি বেষ্ট নিউজ, ঢাকা।
আমার বাতা/কমল চৌধুরী/এমই