গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা একেবারেই অমার্জনীয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা বলেন তিনি।
বিবৃতি বলা হয়, তরুণ নাগরিকদের তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এই ঘটনায় এনসিপির নেতাকর্মী, পুলিশ ও গণমাধ্যমের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। শান্তিপূর্ণভাবে এক বছর আগের বিপ্লবী আন্দোলনের বার্ষিকী পালন করতে আসা তরুণ নাগরিকদের ওপর এমন হামলা তাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা আজ নির্মমভাবে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই বর্বরোচিত হামলা—যা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে—তার জবাবদিহি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
এতে বলা হয়, ‘আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা জানাই এবং সেইসাথে সাহসী ছাত্রদের অবিচলতা ও দৃঢ় মনোবলের জন্য অভিবাদন জানাই, যারা সব হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন।’
‘এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছি: বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
আমার বার্তা/এমই