চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব কাদেরকে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বুধবার (২ জুলাই) সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হবে না।
এনবিআরকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ সেবা ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে অস্পষ্টতার বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন, দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন নাই, আগেও প্রজ্ঞাপন নাই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নোট এ ডিসিশন মেকার। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আলোচনার দরকার আছে কী নাই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাবা আছে কী নাই, সেটা বুঝলে পরে আমরা বসব।
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে বন্দরে স্থবিরতা দেখা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বন্দর পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে, সেগুলো এখন জাহাজীকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি আসলে আমরা হয় তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারব। রংপুরে ৩০টি স্কুল রেইনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই