রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা ভিত্তিহীন। শুধু হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি নারী বিবেচনায় জামিন পেতে পারেন। যেকোনো শর্তে তার জামিন প্রার্থনা করছি। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২/৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াল গ্রুপ (KAWAII Group) নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তার। সুন্দরী, আকর্ষণীয় ও স্মার্ট মেয়েদের তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে এবং আদায় করে থাকে।
এর আগে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১০ এপ্রিল ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আমার বার্তা/এমই