বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর মিরপুর থানার দুই হত্যাচেষ্টা ও খিলগাঁও থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
এদিন ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মো. বক্কর সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করে।শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
মিরপুর থানার এক মামলায় হত্যাচেষ্টা মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের বাবুর্চি হৃদয় মিয়া জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
মিরপুর থানার অপর হত্যাচেষ্টা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছিল আদহাম বিন আমিন। এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করলে তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে খিলগাঁও থানার হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩ টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলি লেগে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ৫ টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷
আমার বার্তা/এম রানা/এমই