গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে শেষ পর্যন্ত সেরকম কিছুই হয়নি। ভারত সিরিজের পর তিনটি সিরিজেই তিনি ছিলেন দলের বাইরে। এমনকি খেলা হচ্ছে না চলমান বিপিএলেও। সে কারণে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব খেলবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা থামছে না। এবার এ প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আজ (শুক্রবার) মিরপুরে প্রেসবক্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা প্রসঙ্গে ফারুক জানান, সাকিব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ চলছে। নিজেও আরেকবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করবেন বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম বিষয় হলো– সাকিবের তো এখনও অবসর হয়নি, তেমন কিছু হয়নি তার। যদি সাকিব অবসর নিয়ে ফেলতো তাহলে তো বলতাম যে সে আর নাই। ওর যা ইস্যুগুলো আছে সেগুলো নিয়ে সে মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, ওইটা (রাজনৈতিক জটিলতার বিষয়ে) কি করা যায়। ওই ব্যাপারগুলোয় আমার সাহায্য করার কোনো ব্যাপার নেই। এটা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এটা শুধুমাত্র সরকারী পর্যায় থেকে যদি নিদের্শনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে, ওগুলো যদি ঠিক করতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পরবর্তীতে তার ফিটনেস–মানসিক শক্তি দেখে সিলেকশন কমিটি আছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য সাকিবের দেশে না আসা প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে আমি আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কথা বলেছিলাম। আমাদের যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আছেন, তিনি বলেছিলেন সাকিবের ব্যাপারটা সে আসবে, খেলবে- এটা সরকার দেখবে। তারপর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্তে সেটা আর সম্ভব হয়নি। চাহিদা থাকলেই তো হয় না, কারণ এটা একটা জাতীয় ইস্যু। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশের বাইরে, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।’
চলমান বিপিএলের মাঝেই সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ফারুক, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিতই কথা হতো। গত কিছুদিনে কথা হয়নি। সে অবশ্যই (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) খেলতে চায়। এই বিপিএলের মধ্যেই ওকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
প্রসঙ্গত, সাকিবকে সর্বশেষ জাতীয় দলে দেখা গেছে গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে। কানপুরে অনুষ্ঠিত টেস্টটিই ছিল ফরম্যাটটিতে তার বিদায়ী ম্যাচ। যদিও এর পরের মাসেই বাংলাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে তিনি টেস্ট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে আটকে যায় তার দেশে ফেরা। একইভাবে জাতীয় দলেও আর আসা হয়নি সাকিবের।