পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় হিমবাহ ও উঁচু পাথরের মাঝে নীরবতা বিরাজ করছে। হঠাৎ আকাশ থেকে নেমে এল একটি মই। সে নীরবতা ভেঙে গেল। এভারেস্টের বেজক্যাম্পে বসে মিলান পাণ্ডে এমন দৃশ্য দেখছেন, যা খুব কম লোকই দেখেছে।
এভারেস্টের দুর্গম পথ পাড়ি না দিয়েই অভিযাত্রীদের মাঝে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। মিলান পাণ্ডে মূলত ড্রোনচালক। তিনি বেজক্যাম্প থেকে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করে নির্দিষ্ট স্থানে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁর এই কাজ পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় অভিযানে যাওয়া অভিযাত্রীদের কাজ সহজ করে দিতে পারে।
পাণ্ডে তাঁর ড্রোন দিয়ে যে মই, দড়ি ও অক্সিজেন পরিবহন করতে পারেন, তা অভিযাত্রীদের সঙ্গে থাকা শেরপাদের কাজে লাগতে পারে। এভারেস্টের বেজক্যাম্প ও ক্যাম্প ওয়ানের মাঝে খুম্বু আইসফল পেরোনোর সময় তা কাজে লাগবে। এ স্থানে অনেকের প্রাণ হারানোর ঝুঁকি থাকে।
কাছাকাছি পাহাড় এবং পর্বত থেকে আগত বিশেষজ্ঞ শেরপারা সাত দশক ধরে এভারেস্টে আরোহীদের জন্য চলাচল এবং পথ তৈরি করে আসছেন। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্থানীয় ড্রোন ম্যাপিং স্টার্টআপ বা ড্রোন–বিষয়ক উদ্যোগ এয়ারলিফট টেকনোলজির কর্মকর্তা পাণ্ডে মনে করছেন, ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং শেরপাদের কয়েক দশকের পর্বতারোহণের জ্ঞানের সমন্বয়ে এভারেস্টের যাত্রাপথকে আরও নিরাপদ করে তোলা সম্ভব হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই