বরগুনাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণার পর গত এক মাস ধরে কিছুটা কমতে শুরু করেছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে এখনো প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জেলার আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলায় আরও অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে সদর উপজেলার পর পাথরঘাটা উপজেলায় বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টার তথ্য অনুযায়ী, শুধু বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে বামনায় ৩ এবং পাথরঘাটা উপজেলায় ৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১১১ জন রোগী। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল আরও ভর্তি রেয়েছেন ৩৩ জন।
এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট ৫ হাজার ১৫ জন রোগীর মধ্যে শুধু জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জেলার আরও অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর অবস্থান থেকে পাথরঘাটা উপজেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৩২ জন। এছাড়াও আমতলীতে ৬০, বেতাগী ৬২, বামনায় ১৮৫ এবং তালতলীতে ১১৮ জন আক্রান্ত রোগী এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে জেলায় আক্রান্ত সব রোগীর মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৭১ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, কিছু দিন ধরে বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম রয়েছে। তবে বছরের যে কোনো সময়েই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। আজকে কম আছে আবার কালকে বেড়ে যেতে পারে। সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। কিছুদিন ধরে আক্রান্ত রোগী আমরা কম দেখছি, তবে আরও কিছু দিন না গেলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিম্নমুখী হচ্ছে কিনা তা বালা যাবে না।
আমার বার্তা/এল/এমই