রাজধানীতে ঈদের আগে মুরগির বাজারে মাস খানেক ধরে যে ‘স্বস্তি’ ছিল, তা অনেকটা হারিয়ে গেছে; বিভিন্ন ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
আর বৃষ্টির কারণে ঈদের আগে তরিতরকারির দাম যতটা বেড়েছিল, তা এখনও কমেনি।
বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির চাহিদা কম, কিন্তু সরবরাহ আরও কম। এ কারণে দাম বাড়তি।
সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা; ঈদের আগে ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।
এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ১৮০ টাকায়, যা ঈদের আগের সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
লাল লেয়ার মুরগির কেজি আগের মত ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ারের ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাত মসজিদ বাজারের ‘বিসমিল্লাহ ব্রয়লার মুরগির’ বিক্রেতা মোহাম্মদ ইয়ামিন বলেন, “মুরগি কম আনছি। কারণ ঈদের পর চাহিদা কম থাকে। তবে দাম আগের চেয়ে একটু পড়বে। কারণ ঈদের আগের সঙ্গে এখনকার হিসাব মেলালে হবে না; দুইটা দুই সময়। আর এখন সরবরাহও কম।”
সবজির দাম বেশিই আছে
‘বৃষ্টির কারণে’ ঈদের আগে রাজধানীর কাঁচা বাজার গুলোয় সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যায়, যা এখনও কমেনি।
গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা বিক্রি হয় ৬০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ ও ধুন্দলের কেজি বিক্রি হয় ৭০ টাকায়।
কাঁকরোলের কেজি ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৯০ থেকে ১০০, সজনে ১০০ থেকে ১২০ ও ঝিঙা আগের মতই ৬০ টাকা কেজি দরে মিলছে।
এছাড়া টমেটোর কেজি ৫০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা ও প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।
বাজারে কাঁচা কলার হালি আগের মতোই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, একেকটি চাল কুমড়া ৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।
এক হালি লেবু প্রকারভেদে মিলছে ১০ থেকে ২০ টাকায়। ধনেপাতার কেজি আগের মতোই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকার মধ্যে।
আর লাল শাক আগের মতোই ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, নাপা শাক ২০ টাকা ও ঢেঁকি শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।
এদিন প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আদার কেজি মানভেদে ১২০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। আলুর কেজি ৩০ টাকা। রসুন মানভেদে বিক্রি হয় দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা কেজি দরে।
আমার বার্তা/এল/এমই