বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে সুফিধারার আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান দেওয়ানবাগ শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালিত হয়েছে। শনিবার রাজধানীর আরামবাগে লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ১৫শ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা হুজুর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
মোরাকাবা ও মিলাদ শরীফের মাধ্যমে ভোর রাতে সম্মেলন শুরু হয়ে বিকেলে ড. কুদরত এ খোদার বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। সম্মেলন শেষে একটি জমকালো র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে ড. কুদরত এ খোদা বলেন, সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে আনন্দের দিন হলো পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। কারণ এই দিনে জগৎসমূহের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সা) জন্মগ্রহণ করেন। যার সাফায়াত ছাড়া উম্মতে মোহাম্মদীর মুক্তির ফয়সালা হবে না, তার জন্মদিনে আনন্দিত হওয়া অত্যন্ত রহমত ও বরকতের।
রাসুলের জন্মদিনে সর্বাধিক আনন্দিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর কুদরত এ খোদা বলেন, মুসলিম জাতি ভুলবশত মহানবী (সা.)-এর জন্মদিন পালনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই আনন্দের দিনে সাধ্য অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের নতুন কাপড় কিনে দেওয়া, ভালো খাবারের আয়োজন করা ও অধিনস্তদের বোনাস দেওয়ার আহ্বান জানান।
ঐতিহাসিক দলিল তুলে ধরে তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ৮১তম দিনে ওফাত লাভ করেন এবং আখেরি চাহার সোম্বার পর তিনি জীবদ্দশায় আর কোন বুধবার পাননি। এতে ১লা রবিউল আউয়াল যে হযরত রাসুল (সা.) এর ওফাত দিবস এতে কোন সন্দেহ নেই। মহান সংস্কারক সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা (রহ.) মুসলিম জাতিকে এই ভুল ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
র্যালী শুরুর পূর্বে সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাসুল প্রেমিকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধের জোর আহ্বান জানান ইমাম কুদরত এ খোদা। দেশবরেণ্য আলেমগণ ঈদে মিলাদুন্নবি ও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শের ওপর আলোচনা করেন এবং শিল্পীগণ নাত ও দরুদ পরিবেশন করেন।