সিলেটে নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বাড়ছে জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি-গোয়াইন ও ধলাইসহ সব নদ-নদীতে। তবে এখনও কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
শনিবার (৩১ মে) সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের একটি নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, গতকালের তুলনায় আজ কিছুটা পানি কমেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তবে এখনো কারও সেখানে আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) সিলেটে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আরও ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
এক অফিস আদেশে সিটি করপোরেশনের সচিব আশিক নূর জানিয়েছেন, দ্বিতীয় তলার ২০৫ নম্বর কক্ষে চালু হওয়া কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর (মুঠোফোন- ০১৭১১৯০৬৬৪৭)। জলাবদ্ধতা নিরসনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন। ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গোয়াইনঘাটে যাচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই