শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার কার্যকর বাহন হচ্ছে শিক্ষা। এর মাধ্যমে আমরা বৈষম্য নিরসন করতে পারি। শিক্ষা হচ্ছে মানুষের আত্ম উন্নয়নের উপযুক্ত পথ। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ সংক্রান্ত নাগরিক তৈরির উপায়। আমরা সবাই মিলে এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থাই গড়ে তুলব।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো, কোচিং ও নোট বই নির্ভরতা কমানোসহ শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা, লাইব্রেরি কার্যক্রমকে জোরালো করার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা জরুরি।
এ প্লাস ও গোল্ডেনে সয়লাব হয়ে যায় উল্লেখ করে চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন টেস্টে ৯০ ভাগ ছাত্রছাত্রী ফেল করে। এমনভাবে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে করে শিক্ষার্থীরা যে মার্ক অর্জন করেছে তাই পাবে। রাষ্ট্র তাকে খয়রাতি কোনো মার্ক দেবে না। আমরা এই সস্তা জনপ্রিয়তা নেওয়ার চেষ্টা করব না।
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আমাদের তরুণ সমাজ। তারা আমাদের নাগরিক হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের যে নাগরিক অধিকার সেটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে এই তরুণ সমাজ। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম জীবদ্দশায় প্রজা হিসেবেই মৃত্যু হবে। কিন্তু আবার নতুন করে নাগরিক হিসেবে বাঁচার সুযোগ পেয়েছি। এটা তরুণ প্রজন্ম এবং শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের কারণে হয়েছে। সে কারণে আমরা দায়বদ্ধ। শিক্ষক যে সম্মানের দাবিদার, যে মর্যাদার দাবিদার সেটাকে আমরা নিশ্চিত করব। অনেক সময় পেনশন পেতে ঘুরতে হয়, সেগুলো আমরা দেখব।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা সব স্কুলকে ভালো স্কুলে পরিণত করতে চাই। পাশাপাশি ভালো স্কুলে ভর্তি হতে না পারলে অভিভাবক হতাশ হবেন, সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্কুলগুলোকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যেন ছাত্ররা স্কুলে যেতে আগ্রহী থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ।
এতে বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ.ম কবিরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
আমার বার্তা/এল/এমই