পিরোজপুর জেলার সদর থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, চুরি, অবৈধ সমাবেশ ও ভাঙচুর মামলার অন্যতম আসামি এবং যুবলীগ নেতা নাছির উদ্দিন হাওলাদারকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভাঙা প্রেস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১১ মে) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইফাদ বাবুর নেতৃত্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, পিরোজপুর সদর থানার একটি মামলার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, "বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা নাছির উদ্দিনকে সোমবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।"
জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. চান মিয়া মাঝিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাংবাদিক মো. জহিরুল ইসলাম কলিম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হত্যার পরিকল্পনা, লুটপাট, গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হন বিএনপি নেতা কলিম। পরদিন কলিমের বাড়িতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় মো. নাছির উদ্দিন হাওলাদার ছাড়াও চান মিয়া মাঝি, মুরাদ হোসেন মাঝি, হারুনার রশিদ বাদশা, মো. মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু ও মো. সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ ২৫-৩০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়।
নাছিরের গ্রেপ্তারের খবরে পিরোজপুরে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করে।
আমার বার্তা/এমই