বরগুনার আমতলীতে গত ২৭ এপ্রিলের থেকে ৮ মে পর্যন্ত ১৬ দিনে আমতলী উপজেলায় বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে মাঠে কাজ করার সময়। হঠাৎ করে বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে একের পর এক বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনায় কৃষকদের মাঝে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আকাশে মেঘ দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন তারা।
জানা যায়, সর্বশেষ গত ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ষোলহাওলা গ্রামের নিজাম মুসুল্লির ছেলে জসিম মুসুল্লি (৩৮) ও তার ছেলে রিয়াদ মুসুল্লি সন্ধ্যায় মাঠ থেকে বাদামের আটি নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। ওই বজ্রপাতে কৃষক জসিম মুসুল্লি জ্বলসে যায়। ছেলের ডাক চিৎকারে স্বজনরা মাঠে গিয়ে তার জ্বলসানো মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্বজনরা তার মরদেহ বাড়ীতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় স্বজনের মধ্যে শোকের মাতম বইছে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের মোসলেম গাজীর মেয়ে পোলেনুর বেগম গত সোমবার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মা গোল ভানু মাঠে ডাল তুলতেছিল। ওই ডালের আটি নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত হয়। ওই বজ্রপাতে দুই সন্তানের জননী পোলেনুর এর শরীর জ্বলসে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এমন মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এছাড়াও গত ২৭ এপ্রিল রবিবার বেলা ১০ টার দিকে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের বশির হাওলাদারের ছেলে রিপন হাওলাদার মাঠে গরু চরাতে যায়। ওই সময় ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত হয়। ওই বজ্রপাতে যুবক রিপনের শরীর জ্বলসে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
আমতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তারেক হাসান জানান, মার্চ-এপ্রিল-মে এই তিন মাসে বজ্রপাত বেশী হয়। বজ্রপাতের সময়টাতে যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষকরা রবি শস্য ও বোরো ধান তোলায় ব্যস্ত থাকেন। সেজন্য এই সময়টাতে বজ্রপাতে মৃত্যুটা বেশী হয়। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার আবেদন করলে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।