ই-পেপার মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হজে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক সুস্হ্যতায় কী করবেন

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ:
০৯ মে ২০২৫, ২১:১৮

প্রতিবছরের মতো এবারও হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। হজযাত্রীদের বড় অংশই বয়স্ক। তাঁদের অনেকেরই আছে নানা ক্রনিক রোগ, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, হাঁপানি ইত্যাদি। হজে গিয়ে যেন তাঁরা সুস্থ থাকতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। প্রতিবছর হজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়েন, অনেকে মারাও যান।

সংক্রমণ

হজে লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটে। তাই এখানে যেকোনো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সহজ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ। কারণ, এই জীবাণু বাতাসে ড্রপলেট আকারে ছড়ায়। বয়স্ক ও ডায়াবেটিসের রোগীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে বলে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন। তাই ফ্লু, নিউমোনিয়া এড়াতে মুখে মাস্ক পরুন, বারবার হাত পরিষ্কার করুন। হাঁচি–কাশির আদবকেতা মেনে চলুন। সম্ভব হলে যাওয়ার আগে ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা দিয়ে নিন। আরেকটি জটিল সংক্রমণ হলো মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কের পর্দার প্রদাহ, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। এটিও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। হজে যাওয়ার আগে মেনিনজাইটিসের টিকা নেওয়া জরুরি। যেকোনো জ্বর, কাশি, জ্বরের সঙ্গে ঘাড় শক্ত হওয়া, শরীরে র‌্যাশ দেখা দিলে দ্রুত মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে জ্বরের সঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে।

ডায়রিয়া

বাইরের খাবার খেতে হয় বলে বদহজম বা ডায়রিয়া হতে পারে। এমন হলে মুখে খাওয়ার স্যালাইন খাবেন, বমি থাকলে শিরায় স্যালাইন নিতে হবে। ডায়রিয়া বা বমি হলে কী ওষুধ খাবেন, তা জেনে নিয়ে সঙ্গে বহন করুন। বাসি–পচা খাবার খাবেন না।

হজযাত্রীদের বড় অংশই বয়স্ক। হজে গিয়ে যেন তাঁরা সুস্থ থাকতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।

পানিশূন্যতা

সৌদি আরবে অনেক গরম, তাই পানিশূন্যতা হতে পারে যে কারও। প্রচুর পানি পান করতে হবে। যদি মাথা ব্যথা করে, চোখ বসে যায় ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, তবে বুঝবেন ডিহাইড্রেশন হচ্ছে। পানির সঙ্গে অন্যান্য তরলও পান করবেন। অনেকে টয়লেটে যাওয়ার ভয়ে পানি কম খান, যা একেবারেই ঠিক নয়। হিট স্ট্রোক এড়াতে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করবেন। ঢিলেঢালা কাপড় পরবেন।

দীর্ঘমেয়াদি রোগে সতর্কতা

যাঁদের হাঁপানি আছে, তাঁরা যথেষ্ট ইনহেলার ও ওষুধ সঙ্গে নেবেন। ডায়াবেটিসের রোগীরা থার্মোফ্লাস্কে ইনসুলিন নিতে পারেন। গ্লুকোমিটারে মাঝেমধ্যে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করবেন ও সে অনুযায়ী মাত্রা ঠিক করবেন। সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করতে চেষ্টা করবেন। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রক্তচাপ মাপার যন্ত্র নিতে পারেন। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।

পায়ের যত্ন

অনেক হাঁটতে হয় বলে পায়ে আঘাত, ঘা হতে পারে। সঠিক মাপের আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। একাধিক জুতা সঙ্গে নেওয়া ভালো। খালি পায়ে হাঁটার জায়গায় মোজা পরে নেওয়া উচিত। বারবার অজু করার পর পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলো মুছে নেবেন। পায়ে কোনো ক্ষত হলে অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগান বা ড্রেসিং করে নিন।

সর্বোপরি শারীরিক মানসিক প্রস্তুতির পাশাপাশি কিছু আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিও দরকার রয়েছে। কেননা বার বার হয়তো যাবার সুযোগ হবে না। পরে এসে আফসোস করবেন যে আগে থেকেই আরো কিছু জেনে শুনে আসলাম না কেন! তাই আগে দিবি বুঝে শুনে যাওয়া উচিত। তাছাড়া সেখানে গিয়ে দুনিয়াবী কোন চিন্তা ভাবনা করা, একান্ত জরুরি ছাড়া ফোন, ফেইসবুকে পোস্ট ছবি তোলা ইত্যাদি কিছু ঠিক নয়। প্রতিটি ওয়াক্ত সময় প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকা উচিত, এবং প্রতিটি ফরজ ঠিক ভাবে মোয়াল্লেম থেকে জেনে নিন, আপনার হজ্জ -ওমরা কবুল করুক আমিন।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, মেডিসিনবিশেষজ্ঞ।

আমার বার্তা/অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ/এমই

রাষ্ট্রের অর্জিত স্বাধীনতা ও তার রক্ষাকবচ

রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা বলতে সাধারণত আমরা কোনো রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমারেখা ও সার্বভৌমত্বকে বহিঃশত্রুর হাত

অর্থ পাচার বন্ধ হলে উন্নয়ন হবে টেকসই

বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা এখন আর কেবল দূরের স্বপ্ন নয়; এটি এক জ্বলন্ত বাস্তবতা। যা নতুন

ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও আমাদের তরুণ প্রজন্ম

ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ চ্যানেলগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট

ভ্রাম্যমান আদালত (মোবাইল কোর্ট) এ বিচার কার মাধ্যমে হবে তার সুরাহা কেন জরুরি 

সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুইদিনব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলনে সরকারের নিকটে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লংগদুতে ৪র্থ ধাপে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

হাসনাতকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান কুমিল্লা বিএনপির

বিএনপির কি আকাল পড়েছে আ.লীগ থেকে লোক আমদানি করতে হবে

প্রাথমিকের শিক্ষকদের শৃঙ্খলা মামলায় নজরদারি বাড়াল অধিদপ্তর

করিডোর ও বন্দরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এই সরকারের কাজ নয়

যারা একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের পদত‍্যাগ করতে হবে: ইশরাক

প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

১১০২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমের বিরুদ্ধে দুই মামলা অনুমোদন

বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় জাতীয় সনদ তৈরিতে অগ্রসর হতে পারব

আসিফের বিবৃতিকে মিথ্যাচার বললেন ইশরাকের অনুসারীরা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি ফলে জমে উঠেছে ভাসমান হাট

বল পার্টনার পেল বাফুফে, সাশ্রয় হচ্ছে দেড় কোটি টাকা

পাবনায় দুদিনে একই বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ

শেখ পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর পৌনে ২ লাখ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, তালিকা প্রকাশ

অর্থ উপদেষ্টার আশ্বাসে স্থান ত্যাগ করল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ

সরকার পতনের পর আমলাতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

কারও দ্বৈত এনআইডি নেই, ডাটাবেজ পুরোপুরি নিরাপদ: ডিজি

মঙ্গলবার পাকিস্তান যাচ্ছেন মিরাজ, পেয়েছেন চারদিনের এনওসি

ফ্যাসিস্ট সরকারের পুরোনো মডেলেই হচ্ছে নতুন বাজেট: আমীর খসরু