ই-পেপার রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

গারো পাহাড়ের সবুজায়নে বেড়েছে বন্য হাতির সংখ্যা

শেরপুর জেলার গারো পাহাড় থেকে ঘুরে জাহাঙ্গীর খান:
০৩ মে ২০২৫, ১৭:৫৬

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় বেড়েছে বন্য হাতির সংখ্যা। ফলে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় খাদ্যে সন্ধানে বন্য হাতির দল চলে আসছে লোকালয়ে। খাদ্যের সন্ধানে নামছে কৃষি জমিতে। বিনষ্ট হচ্ছে কৃষকের রোপন করা শস্য ক্ষেত। এ অবস্থায় কৃষি জমি রক্ষায় বন এলাকায় হাতি খাদ্য উপযোগী গাছ রোপনের তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয়রা। তার বলেছেন একসময়ের ন্যাড়া পাহাড় গুলোতে নতুন করে বনায়ন করা হয়েছে। ফলে এক দিকে যেরকম গাছ বেড়েছে অন্যদিকে জংলি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হাতি দল বেঁধে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে। অথচ হাতির খাদ্য উপযোগী গাছ গাছালি সংখ্যা তেমন বৃদ্ধি পায়নি। এ কারণে হাতির দল গারো পাহাড় এলাকা পেরিয়ে খাদ্যের সন্ধানে ছুটে আসছে লোকালয়ে। ফলে একদিকে স্থানীয়রা বন্য হতির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ঘুরছেন তেমনি কৃষিজমি রক্ষায়ও হতাশায় ভুগছেন।

সরেজমিন ভারতের মেঘালয় সীমান্ত বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী উপজেলার বিস্তীর্ণ গারো পাহাড় এলাকায় ঘুরে এবং চিত্র চোখে পড়ে।

নালিতাবির মধুটিলা ইকোপার্কে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেওয়ান আলী জানান,২০১৮ সাল থেকে ২০ সালে মধুটিলা সহ আশপাশের পাহাড় গুলোকে টেকসই বন ও জীবিকা ( সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল সঠিক পরিচর্যার মধ্য দিয়ে এই চারা গুলো এখন বড় হয়ে গাছে পরিণত হয়ে বন সমৃদ্ধ করেছে। সবুজেঘেড়া পাহাড়ে নির্বিঘ্ন পরিবেশ পেয়ে বন্য হাতির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। অপরদিকে হাতির খাবার উপযোগী গাছের সংখ্যা তেমন ভাবে বাড়েনি বলে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,সুফল প্রজেক্টর আওতায় এই এলাকার স্কুল,মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরে গভীর নলকূপ ও রাস্তাঘাট তৈরি করে দেয়া হয়েছে এছাড়া । এছাড়া বননির্ভর মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য ঋণ দেয়া হয়েছে। বনাঞ্চলের মানুষ এখন সেই সকলের ঋণের অর্থ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে অনেক স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ কারণে স্থানীয় মানুষের সাথে বনের গভীর সম্পর্ক হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মাঝে সচেতনতা তৈরি হয়েছে তারা জীবন বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য কাজ করছেন ।

অন্যদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাঙ্গাটিলা রেঞ্জ অফিসার এসবি তানভীর আহাম্মেদ ইমন বলেছেন, সুফল প্রকল্পের আওতায় নতুন নতুন বাগান সৃজন করা হয়েছে। বননির্ভর মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য আমার রেঞ্জ এলাকায় এক কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার জন্য কাজ করা হয়েছে। স্থানীয়রা স্বাবলম্বী হচ্ছে। তারা সবুজারনের জন্য সহযোগিতা করছে বন বিভাগকে। সারা বছরই ঘুরেফিরে বুনো হাতি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বিচরণ করছে গারো পাহাড়ের বাংলাদেশ অংশে । এই হাতি এখন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ,বুনো সম্পদ। দেশের সবচেয়ে বেশি হাতির বসবাস শেরপুরের গারো পাহাড়ে তিন উপজেলায়। এসব হাতির খাদ্য উপযোগী গাছ আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনার কথা ভাবছে স্থানীয় বন বিভাগ। এ বিষয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষদের জানানো হয়েছে।

অপরদিকে শ্রীবরদী উপজেলার বালিয়াজুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানিয়েছেন, সুফল প্রজেক্টে মাধ্যমে ৪৩ প্রজাতির গাছের চারা রোপন করা হয়েছে এই এলাকার নির্দিষ্ট বনাঞ্চল এলাকায়। এসব আগে যেসব পাহাড় গাছ বিহীন ছিল সেসব পাহাড়ে প্রাণ ফিরে এসেছে। গাছের চেয়ে বড় হয়ে এখন বড় গাছে পরিণত হয়েছে। নতুন নতুন গাছ জন্ম নিচ্ছে। এলাকার বনয়ন সমৃদ্ধ হয়েছে। গারো পাহাড়ের বন নির্ভর মানুষ এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। সুফল প্রকল্পের সুফল মানুষ ভোগ করছে।

গারো পাহাড়ের বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকারের ফুল জন্মে আর সেখান থেকেই মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। তাই বন মধু চাষের উপযুক্ত স্থান। এখানে কেউ মৌচাষ করে মধু উৎপাদন করতে চাইলে বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারে। শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড় ঘেড়া মালাকুচা ঝুল গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলী( ৫৫) তিনি বলেন এরকম বাগান কোথাও নেই এই বাগানে কাজুবাদাম গাছ আছে। নানা প্রজাতির ফলের গাছ আছে। হাতিরা দল বেঁধে এই বাগানে এসে তাদের খাদ্য খায়। স্থানীয় মানুষ তাদের বিরক্ত করেন না। এ কারণে হাতির সাথে মানুষেরও সম্পর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম আছে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়িতে। ওইসব এলাকার গারো পাহাড়ে বন্যহতির খাবারের সংকট রয়েছে। অখচ এই হাতির দল আমাদের রাষ্ট্রিয় সম্পদ। এই হাতি সম্পদ রক্ষা ও প্রজনন বাড়াতে পারলে লাভবান হবে দেশ। একারনে হাতিয় খাদ্য উপযোগী গাছ বনায়ন এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হাতির এই প্রজনন বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করা সরকারের দায়িত্ব। কারন বন্য হাতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় সম্পদ।

এদিকে গত এক বছরে প্রায় অর্ধশত নতুন হাতির শাবকের জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এর আগে শেরপুরের গারো পাহাড়ে ১০০-১২০ টির মতো বন্যহাতির বিচরণ লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে তা বেড়ে কমপক্ষে ১৭০টিতে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শেরপুরের গারো পাহাড় এলাকায় ক্রমেই প্রজননের মাধ্যমে বন্যহাতির বংশ বিস্তার ঘটছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যহাতির সংখ্যা। এসব এলাকায় গত এক বছরে প্রায় অর্ধশত নতুন হাতির শাবকের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এশিয়ান প্রজাতির বন্যহাতির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং বিলুপ্তের পথে চলে আসছে বলে হাতি গবেষকরা উদ্বেগজনক খবর জানালেও শেরপুরে আশার আলো দেখছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

আমার বার্তা/এমই

টেকনাফ সীমান্তে চোরাচালানের নেপথ্যে ‘সেভেন স্টার’

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্যে বন্ধ থাকায় সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে। এতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনকে নিরাপদ রুট

সাভারের বিরুলিয়ায় রং মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

সাভারের বিরুলিয়ায় শুক্কুর সিকদার (৩৪) নামে এক রং মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। রোববার (৪ মে) সকালে

বাউফলে চিকিৎসকের ১১টি পদের ভিতর ১০টি পদই শূন্য

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ৩১ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৩ সালের

চাকরিপ্রার্থীদের টার্গেট করে প্রতারণা, চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসা একটি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করে চাকরি হারালেন ভারতীয় সিআরপিএফ কর্মকর্তা

এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়

ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

সিঙ্গাপুরে টানা ১৪ বারের মতো জয় পেলো পিপলস অ্যাকশন পার্টি

টেকনাফ সীমান্তে চোরাচালানের নেপথ্যে ‘সেভেন স্টার’

সাভারের বিরুলিয়ায় রং মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্বোধন

মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপ তৈরি করবেন যেভাবে

আগামী পাঁচদিন কমবে বৃষ্টিপাত, বাড়বে তাপমাত্রা

ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত

দোহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক গ্রেপ্তার

ছেলের পর মায়ের মৃত্যু, বেঁচে থাকা নারীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক

বাউফলে চিকিৎসকের ১১টি পদের ভিতর ১০টি পদই শূন্য

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

মিজোরামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২ মার্কিন নাগরিক গ্রেপ্তার

রাষ্ট্রের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতৈক্যে পৌঁছানোর আহ্বান

ইবরাহিম (আ.) মক্কা শহরের জন্য যে দোয়া করেছিলেন

চাকরিপ্রার্থীদের টার্গেট করে প্রতারণা, চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

জাহাজ চলাচলে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা