“আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা” এ স্লোগানটি একটি মসজিদের এলইডি স্ক্রীনে বারবার প্রচার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানো হয়। সাধারণ মুসল্লী ও ছাত্রজনতার প্রতিবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এলইডি স্ক্রীনটি বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় একদিকে যেমন তোলপাড় চলছে, অন্যদিকে মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিতদের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
“আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা” স্লোগানটি মসজিদের এলইডি স্ক্রীনে ভেসে উঠার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে বড় মসজিদ এলাকায় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের ভিড় জমতে থাকে। এক সময় ছাত্র-জনতা মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানাতে থাকে। খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। পরে মসজিদের স্ক্রিন অপারেটর জমির হোসেনকে আটক করে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
একপর্যায বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্যাসিস্ট আমলে ফেনীর বড় মসজিদ কমিটি বাতিল করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
ছাত্র সমন্বয়ক ও সাধারণ মানুষ বলেন, এই মসজিদ কমিটিতে আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল। অনেকে এখনও আছে, তারাই এমন ন্যক্কারজনক কাজ করে থাকতে পারে। ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, আমরা জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা করে ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে মসজিদ ও মুসল্লি বান্ধব নতুন কমিটি জমা দিয়েছি। কমিটির অনুমোদন না দেয়ার কারণেই বিগত দিনের ফ্যাসিস্টদের কমিটি এ ঘটনা ঘটানোর সাহস করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন- বর্তমান পেশ ইমাম মো. আবদুল্লাহ‘র সাথে বিগত সরকারের লোকজনের ছিলো মধুর সম্পর্ক। পুরস্কার স্বরূপ মোয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েও পেশ ইমামের মতো গুরুত্বপূর্ন পদ বাগিয়ে নেন । তাই সন্দেহের তীর তার দিকেও ছুঁড়ছেন অনেকে। ফেনী বড় জামে মসজিদের খতিব মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য নেয়ার চেষ্টা চলছে।
আমার বার্তা/এমই