বৈষম্যহীনভাবে স্বচ্ছ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় যোগ্য ব্যক্তিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একইসঙ্গে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের অধীনে গভর্নমেন্ট টু পার্সন (জিটুপি) পদ্ধতিতে ভাতা দেওয়া ও বিভিন্ন কৌশলগত সংস্কার কর্মসূচি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় দৃঢ়করণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নে প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় মানুষের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সবার কাম্য। দেশের কল্যাণমূলক কার্যক্রম ও উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও মানবাধিকার সুরক্ষায় বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সুবিধা বঞ্চিত শিশু, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় সমাজসেবা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে।
পরিশেষে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।
আমার বার্তা/জেএইচ