পুরান ঢাকায় অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে ঢাকার ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বই, আসবাবপত্র, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতরে শিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি বাইকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। এছাড়া প্রতিটি অফিসকক্ষ ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে সহপাঠীর মৃত্যু, মরদেহ আটকে রাখা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও করেন বিভিন্ন কলেজের ইন্টারমিডিয়েটে পড়া শিক্ষার্থীরা। এ সময় কলেজের প্রধান ফটকও ভাঙচুর করা হয়। এরপর তারা সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে এগুলে দুপক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শাহানাজ সিদ্দিকা বলেন, ‘আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। আর দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ হামলা শুরু হয়। আমরা বিকেল ৩টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। নিচে আমরা কোনোমতে একটা জায়গায় লুকিয়ে ছিলাম। পরে দোতলায় উঠেছি।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বার বার সাহায্য চেয়েছি। আর তাদের পক্ষ শুধু বলা হয়েছে যে তারা ন্যাশনাল মেডিক্যালে আছেন। কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য তা পর্যাপ্ত ছিলো না। আমরা বার বার সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছি কিন্তু পাইনি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
আমার বার্তা/এম রানা/এমই